অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
তাঁর নিজের ছেলে জয়ের ব্যবসা এক লাফে বাড়ল কী ভাবে— তা নিয়ে আজও প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গাঁধী। তবে সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে কংগ্রেসকে পাল্টা জবাব দিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বেছে নিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের জামাইকে। নীরব মোদী, বিক্রম কোঠারি কাণ্ডে বিরোধীদের আক্রমণে জেরবার বিজেপির সামনে অস্ত্র হিসেবে উঠে এসেছে ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অমরেন্দ্রর পরিবারের জড়িয়ে থাকার অভিযোগ। আর একে সামনে রেখেই সোমবার কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন অমিত।
ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্সের প্রায় ৯৮ কোটি টাকা ঋণ ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ এনে অমরেন্দ্রর জামাই ও সিম্ভাওলি সুগারস সংস্থার ডেপুটি এমডি গুরপাল সিংহ-সহ বেশ কয়েকজন কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গ টেনে অমিত আজ টুইট করেন, ‘‘পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর জামাই খেটে খাওয়া চাষিদের জন্য রাখা টাকা পকেটে পুরেছেন— এর থেকে বেশি লজ্জার আর কী হতে পারে?’’ বিজেপি সভাপতির দাবি, বিজয় মাল্য কিংবা নীরব মোদীদের বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে কংগ্রেস। ব্যাঙ্কের ঋণের টাকা নয়ছয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা করে গিয়েছে তারা। আর সেই কংগ্রেসই এখন এ সব নিয়ে জোরদার প্রচারে নেমেছে। অমরেন্দ্রর জামাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ সংক্রান্ত খবর টুইটারে শেয়ার করেছেন বিজেপি সভাপতি। এ প্রসঙ্গেই তাঁর প্রশ্ন, এই খরব নিয়ে করা একটি টুইট কী কারণে মুছে দিয়েছে কংগ্রেস?
আরও পড়ুন: মৃত্যুতে নীরব স্বস্তি!
এই খবর লেখার সময় পর্যন্ত যদিও অমিতের অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য সামনে আসেনি। তবে কর্নাটকে রাহুল আজ ফের টেনে আনেন জয় শাহের প্রসঙ্গ। বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেকে দেশের চৌকিদার বলেন। কিন্ত অমিত শাহের ছেলের কোম্পানি এক লাফে এতটা বড় হয়ে গেল কী ভাবে, তা নিয়ে তিনি নীরব রয়েছেন।’’ মোদীকে রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘এ দেশে ব্যবসা করতে গিয়ে এক জনই ম্যাজিক দেখিয়েছেন। তিনি অমিত শাহের ছেলে জয়। তিন মাসে ৫০ হাজার টাকাকে ৮০ কোটি বানিয়ে দিয়েছেন। চৌকিদার অবশ্য একটা কথাও বলেননি।’’