National news

৮৮ বছর ধরে মাটি খেয়ে বেঁচে রয়েছেন ইনি!

ঝাড়খণ্ডের বাবুপুর গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা হলেন কারু পাসওয়ান নামে ওই বৃদ্ধ। ১১ বছর বয়স থেকেই তিনি মাটি খান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:৩১
Share:

মাটি খেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের এক বৃদ্ধ। প্রতীকী ছবি।

শুরুতে এটা ছিল নিছকই বদভ্যাস। দরিদ্র পরিবারে পরবর্তীকালে যা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। সেই বদভ্যাস এবং বাধ্যতামূলক মাটি খাবার অভ্যাসই এখন ৯৯ বছরের এই বৃদ্ধের খাদ্যের চাহিদা মেটানোর অন্যতম উপায়।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের বাবুপুর গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা হলেন কারু পাসওয়ান নামে ওই বৃদ্ধ। ১১ বছর বয়স থেকেই তিনি মাটি খান। এখন তাঁর দৈনিক এক কিলোগ্রাম করে মাটি লাগে। আর এ ভাবেই ৮৮টি বছর কাটিয়ে দিলেন তিনি।

কেন হঠাৎ এমন অদ্ভুত স্বভাব?

Advertisement

কারু জানালেন, প্রথম প্রথম তাঁর কাছে নিছক নেশার মতোই ছিল এই মাটি খাওয়া। কিন্তু দরিদ্রের ঘরে খাবার জুটত না তাঁর। ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মতো ঘরে কিছুই ছিল না। অবসাদে ভুগতে ভুগতে নিজেকে শেষ করার ইচ্ছা জন্ম নেয় তাঁর মনে। আর সেই ইচ্ছা থেকেই প্রচুর পরিমাণে মাটি খাওয়া শুরু করেন তিনি। ক্রমে মাটি তাঁর খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

কী কী সমস্যা হতে পারে এর থেকে?

• রাসায়নিক সংক্রমণ

• প্রচুর ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া থাকে মাটিতে। যা খাদ্যনালীর সংক্রমণ ঘটায়।

• কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারেন।

এর ভাল দিক কী?

• বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাটির সঙ্গে দেহে প্রচুর পরিমাণ জীবানু প্রবেশ করে। আর ভাল দিক হল এতে দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

•অ্যালার্জি কমায়।

• মাটিতে প্রচুর পরিমাণ অপরিহার্য খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরের পক্ষে পুষ্টিকর।

সবচেয়ে অবাক বিষয় হল রোজ এত পরিমাণ মাটি খেয়েও কারু সম্পূর্ণ সুস্থ। ২০১৫ সালে বিহার সেবর কৃষি বিদ্যালয় তাঁকে পুরস্কৃতও করে। তাঁর বড় ছেলে সিয়া রাম বলেন, ‘‘অনেক বারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাবা কারও কথা শোনেন না। যেখান সেখান থেকে মাটি তুলে মুখে দিয়ে দেন।’’

উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদে এমন এক মাটি খাদকের সন্ধান পাওয়া যায়। রামেশ্বর নামে এক কৃষক ১৭ বছর ধরে মাটি খেতেন। তিনিও সম্পূর্ণ সুস্থ বলে জানা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন