ফের চিতাভস্ম ফেরানোর দাবি সুভাষ-কন্যার

‘নেতাজির মৃত্যু: বাস্তব এবং কল্পনা’ শীর্ষক ওই আলোচনায় কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধেও তোপ দাগতে শোনা যায় অনিতাকে। তিনি জানান জাপানের রেনকোজ়ি মন্দিরে বাবার চিতাভস্ম আছে জানার পরে ১৯৯৫-৯৬-এ তা ফেরানোর কথা শুরু হয়।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৮ ০২:৪৩
Share:

লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে অনিতা বসু পাফ। —নিজস্ব চিত্র।

সুভাষচন্দ্র বসুর চিতাভস্ম ভারতে ফেরানোর দাবি ফের তুললেন তাঁর মেয়ে অনিতা বসু পাফ। লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে আয়োজিত এক সাহিত্য উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বছর পঁচাত্তরের সুভাষ-কন্যা বলেন, ‘‘এই দাবি আমাদের অনেক দিনের। আশা করি এ বার ফল মিলবে। যে দেশকে তিনি এত ভালবাসতেন, সে দেশের মাটিতেই তাঁর অন্তিম শয্যা হওয়া উচিত।’’

Advertisement

‘নেতাজির মৃত্যু: বাস্তব এবং কল্পনা’ শীর্ষক ওই আলোচনায় কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধেও তোপ দাগতে শোনা যায় অনিতাকে। তিনি জানান জাপানের রেনকোজ়ি মন্দিরে বাবার চিতাভস্ম আছে জানার পরে ১৯৯৫-৯৬-এ তা ফেরানোর কথা শুরু হয়। নরসিংহ রাও তখন প্রধানমন্ত্রী। পাফের কথায়, ‘‘তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় নিজে আমাদের জার্মানির বাড়িতে এসে কথা দিয়েছিলেন, ওই ভস্ম কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু হল কই! আসলে কংগ্রেস নেতাদের সবাই কিন্তু আমার বাবার সমর্থক ছিলেন না।’’

তাঁর বাবার ‘মৃত্যু রহস্য’ নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন অনিতা। বসু-পরিবারের কেউ কেউ যে এখনও সুভাষের মৃত্যু মানতে চান না, তা মেনে নিয়েই তিনি বলেন, ‘‘মানুষের হৃদয়ে উনি বেঁচেই আছেন। থাকবেনও চিরকাল।’’ তাইপেই বিমান দুর্ঘটনার পিছনে জওহরলাল নেহরুর ‘হাত’ থাকা নিয়ে একাংশের অভিযোগও উড়িয়ে দেন অনিতা। বলেন, ‘‘নেতাজি সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশ্যে আসার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, চক্রান্তের রটনা একেবারেই ভিত্তিহীন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন