প্রতিবেশী দেশে যাওয়ার ভিসা পাননি বলে অভিযোগ জানালেন ভারতীয় অভিনেতা অনুপম খের। যদিও পাক সরকারের তরফে দাবি, ভিসার আবেদনই করেননি তিনি। দিনভর এই নিয়েই তরজা রইল তুঙ্গে।
করাচি লিটারারি ফেস্টিভালে যোগ দিতে ভারত থেকে ১৮ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে অনুপম খের ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, অভিনেত্রী নন্দিতা দাশ প্রমুখ। অনুপম খেরের দাবি, ওই ১৮ জনের মধ্যে ভিসা পাননি কেবল তিনিই। মঙ্গলবার টুইটারে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁকে ভিসা দিল না পাকিস্তান? তিনি ভারতের সহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন বলে, নাকি তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিত বলে? নাকি নরেন্দ্র মোদীর সমর্থক এবং দেশপ্রেমিক বলে?
যদিও পাক হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অনুপম খের ভিসার আবেদনই করেননি। তাই সেই আবেদন মঞ্জুর বা খারিজ কিছুই করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এই যুক্তি মানতে নারাজ অনুপম। তিনি বলেন, এই ধরনের ব্যাখ্যা হাস্যকর। মিথ্যা কথা বলছে পাক সরকার। কারণ সাহিত্য উৎসবের আয়োজকেরাই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় আবেদন জানান। গত বছরও মে মাসে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আমন্ত্রণে লাহৌরে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করেছিলেন অনুপম খের। কিন্তু সে বারও নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভিসা দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কী বলছেন করাচি লিটারারি ফেস্টিভালের আয়োজকরা?
ওই সাহিত্য উৎসবের মুখপাত্র আমিনা সঈদের দাবি, নয়াদিল্লির পাক হাই কমিশন তাঁদের বলেছিল খেরের ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার দরকার নেই। কারণ, তাঁকে ভিসা দেওয়া হবে না। যদিও পাক সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
পাকিস্তান সরকারের এই ব্যবহারে সাহিত্য উৎসবের আয়োজকেরাও লজ্জিত বলে জানিয়েছেন সদ্য পদ্মভূষণ সম্মানপ্রাপ্ত এই অভিনেতা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। গুলাম আলির নাম না করেই মঙ্গলবার অনুপম খের বলেন, পাকিস্তানের কোনও শিল্পীকে ভারতের একটা জায়গায় অনুষ্ঠান করতে দেওয়া না হলে আরও পাঁচটা জায়গা থেকে ডাকা হয়। কিন্তু সেই ব্যবহার আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে পাই না।’’ তবে ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে পাকিস্তানে যেতে ইচ্ছুক বলেও জানিয়েছেন অনুপম খের।