Rakesh Asthana

Rakesh Asthana: দিল্লির আদালতে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাকেশ আস্থানার নিয়োগ

অবসরের চার দিন আগে আস্থানার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে তাঁকে দিল্লির পুলিশ কমিশনার করা হয়। যদিও সেই নিয়োগ ঘিরে এখনও আদালতে মামলা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৪৩
Share:

দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা। ফাইল চিত্র।

ভরদুপুরে দিল্লির আদালতে গুলি চালানোর ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল দিল্লির পুলিশ কমিশনার পদে রাকেশ আস্থানার নিয়োগ। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের ‘ঘনিষ্ঠ’ ওই অফিসারকে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্তার পদে বসানো সত্ত্বেও রাজধানীর নিরাপত্তা যে কতটা ‘ঠুনকো’, তা এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে বলে সরব আপ নেতৃত্ব।

Advertisement

গত চার-পাঁচ বছরে নানা কারণে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন গুজরাত ক্যাডারের অফিসার আস্থানা। সিবিআইয়ে থাকাকালীন সংস্থার প্রধান অলোক বর্মার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে অবসর নেওয়া অলোক বর্মার বিরুদ্ধে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। আর অবসরের চার দিন আগে আস্থানার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে তাঁকে দিল্লির পুলিশ কমিশনার করা হয়। যদিও সেই নিয়োগ ঘিরে এখনও আদালতে মামলা চলছে।

গোড়া থেকেই দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব দিল্লি সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সরব মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আজ রোহিণী কাণ্ডের সুযোগে সেই পুরনো বিতর্ককে উস্কে দিয়েছেন আপ নেতৃত্ব। দলের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজের কথায়, ‘‘সরকারের সবচেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তি দিল্লি পুলিশের শীর্ষ পদে বসে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা কী ভাবে ঘটে?’’ তাঁর মতে, সব ধরনের নিয়ম অগ্রাহ্য করে কেন্দ্র তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে শীর্ষ পদে বসিয়েছে। সুতরাং এ দিনের ঘটনার দায় কেন্দ্র এড়াতে পারে না। দিল্লি সরকারের হাতে দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব তুলে দিলে নিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের পক্ষপাতিত্ব হত না। মাথায় রাখতে হবে এ ধরনের পক্ষপাতিত্ব বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়।

Advertisement

সিপিআই নেতা ডি রাজা গোটা ঘটনায় দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপরে। দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব অমিত শাহের হাতে থাকায় তিনি কোনও ভাবেই এ দিনের ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না বলে সরব হয়েছেন সিপিআই নেতা।

এ দিকে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার যে অভিযোগ উঠেছে তা মানতে চাননি আস্থানা। তিনি বলেন, ‘‘আততায়ীরা আইনজীবীর ছদ্মবেশে থাকায় প্রথমে বোঝা যায়নি। বোঝা যেতেই ওই দু’জন খুনিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দিল্লি পুলিশ। দুই আততায়ী ও তারা যাকে মারতে এসেছিল সেই জিতেন্দ্র মান ওরফে গোগীই কেবল প্রাণ হারিয়েছে। বাকি সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন