সশস্ত্র বাহিনী কী ভাবে চলবে, সিদ্ধান্ত সরকারই নেবে, স্পষ্ট ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের। —ফাইল চিত্র।
দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অবশ্যই সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হবে এবং মন্ত্রিসভার কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সশস্ত্র বাহিনী যদি সরকারকে জবাবদিহি না করে তা হলে দেশে সামরিক শাসনের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেও এ দিন সর্বোচ্চ আদালত মন্তব্য করেছে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সরকারের তরফে বিভিন্ন মন্ত্রী যে সব বিবৃতি দিয়েছেন, সেই সব বিবৃতির বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। সশস্ত্র বাহিনীর কোনও পদক্ষেপ বা অভিযানকে সরকার যেন রাজনৈতিক লাভের জন্য ব্যবহার না করে, তা সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চিত করুক, এমনই আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী তার প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে দায়বদ্ধ। মামলাটি যিনি করেছিলেন, তিনি আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনী শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করতে দায়বদ্ধ। বাহিনীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রিসভা যেন কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ না করে। সুপ্রিম কোর্ট এই বক্তব্য পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, সশস্ত্র বাহিনী অবশ্যই সরকার তথা মন্ত্রিসভাকে জবাবদিহি করতে বাধ্য। তা যদি না হয়, তা হলে দেশে সামরিক শাসনের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: তালিবানি কায়দায় পুড়ছে স্কুল
২৯ সেপ্টেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় সেনা, তা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের বেশ কিছু মন্তব্যে শাসক-বিরোধী কাজিয়া তুঙ্গে ওঠে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হবে কি না, সে ধরনের সিদ্ধান্ত যে সরকারকেই নিতে হয় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে সে রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে যে সাহসের পরিচয় দিয়েছে, বিভিন্ন মঞ্চে নিজের ভাষণে পর্রীকর বার বার সে কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। সরকারের এই কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টায় রাশ টানুক সুপ্রিম কোর্ট, দাবি ছিল আবেদনকারীর। কিন্তু আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে। সেনা কী ভাবে চলবে, সে সিদ্ধান্ত যে সরকারই নেবে, তাও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে।