ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরি যুবক ফারুক আহমেদ দারকে জিপে বেঁধে ঘোরানোর পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। কিন্তু এক সময়ে কাশ্মীরে মানবাধিকার নিয়ে সরব ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ দিন কাশ্মীরে মোতায়েন ছিলেন রাওয়ত। উরি সেক্টরে কোম্পানি কম্যান্ডার থেকে ১৯ নম্বর পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, ভূস্বর্গে বহু ওঠাপড়ার সাক্ষী তিনি। ২০০৭ সালে অশান্ত সোপোর এলাকায় ব্রিগেড কম্যান্ডার ছিলেন রাওয়ত। তখনই মানবাধিকার নিয়ে ১০ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তাতে হাজির ছিলেন ১৫ নম্বর কোরের তৎকালীন জিওসি মুকেশ সবরবালও। ২০১২ সালে ১৫ নম্বর কোরের তৎকালীন প্রধান আট্টা হাসনানের ‘আওয়ামি মুলাকাত’ প্রকল্পে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন রাওয়ত। কাশ্মীরিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ায় হাসনান ‘মানুষের প্রিয় জেনারেল’ বলে পরিচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দুই হিজবুল জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে
এ হেন রাওয়ত কাশ্মীরি যুবককে সেনার জিপে বাঁধাকে সমর্থন করায় কাশ্মীরের অনেকেই অবাক। সেনা কর্তারা অবশ্য ঘরোয়া আলোচনায় জানাচ্ছেন, মানবাধিকার নিয়ে রাওয়ত এখন সমান সচেতন। কিন্তু শ্রীনগরে লোকসভা উপ-নির্বাচনের সময়ে বিক্ষোভকারীদের পাথরের হাত থেকে ভোটকর্মীদের বাঁচাতে মেজর নিতিন লিতুল গগৈ যে পথ নিয়েছিলেন তাও সঠিক ছিল বলে মনে করেন। এক সেনা কর্তার কথায়, ‘‘সেনাপ্রধান তো স্পষ্টই জানিয়েছেন, সব সময়ে এমন কৌশল নেওয়া হয় না। কিন্তু নোংরা যুদ্ধ লড়তে উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দেওয়া ছাড়া পথ নেই।’’
কাশ্মীরের সমস্যার কোনও সামরিক সমাধান নেই বলে অবশ্য আজও মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তাঁর কথায়, ‘‘কাশ্মীরের রাজনৈতিক সমস্যা মেটানোর এখনও কোনও লক্ষণ দেখায়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাজ্যে পিডিপি-বিজেপি সরকারও সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ফলে মানুষের মনে ক্রমশই অসন্তোষ বাড়ছে।’’