কাশ্মীরে নিহত সবংয়ের জওয়ান দীপক মাইতি।
কাশ্মীরে অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে আজ দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। শান্তি ফেরাতে কাশ্মীরের ‘তরুণ প্রজন্মের’ সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরুর ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আজই জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের বাসিন্দা দীপক মাইতি-সহ দুই সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখায় তাদের হামলায় পাঁচ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাক সেনা।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজের খতিয়ান দেন রাজনাথ সিংহ। তখনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোনও গোষ্ঠী, বিশেষ করে যুবকেরা যদি আলোচনায় বসতে চান তবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আমরা তৈরি।’’ রাজনাথের দাবি, ‘‘পাকিস্তানের মদতে কাশ্মীরের এক দল লোক নিজেদের স্বার্থে যুবকদের একাংশকে ভুল পথে চালিত করছে। যে দেশ নিজেদের বালুচিস্তান, ফাটা, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশের সমস্যা সামলাতে পারে না, তাদের কাশ্মীর নিয়ে কথা বলার এক্তিয়ার নেই।’’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, কাশ্মীরে আলোচনা শুরুর জন্য কেন্দ্রের উপরে চাপ ক্রমশই বাড়ছে। তাই রাজনাথ আজ আলোচনার রাস্তাও খুলে রাখলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, হুরিয়ত নেতাদের আর এখন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতিনিধি বলে মনে করে না কেন্দ্র। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে বিক্ষোভের রাশ চলে গিয়েছে নতুন এক প্রজন্মের হাতে। সেই তরুণ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা খুলতেই বার বার উপত্যকার যুবকদের কথা বলেছেন রাজনাথ।
কংগ্রেস কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না। আজই কলকাতায় কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে কেন্দ্র ব্যর্থ। অথচ মোদী পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন।’’ বিজেপি অবশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে, কাশ্মীর কংগ্রেসের তৈরি করা সমস্যা। রাজনাথ সিংহের কথায়, ‘‘১৯৪৭ সাল থেকে চলা সমস্যা এক ঝটকায় মিটিয়ে ফেলা যায় না।’’