জঙ্গি দলে নাম লেখালেন সেনার প্রাক্তন জওয়ানই

কাশ্মীরের ফুলওয়ামার বাসিন্দা টোকার জওয়ান হিসেবে বারামুলার ১৭৩ নম্বর টেরিটোরিয়াল আর্মি দফতরে মোতায়েন ছিলেন। গত ৫ জুলাই তিনি নিজের সার্ভিস রাইফেল ও তিনটি ম্যাগাজিন নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পায়নি সেনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছিলেন সেনা। হলেন জঙ্গি। যে হাতিয়ার জঙ্গিদের মারার জন্য তুলে দেওয়া হয়েছিল সেই হাতিয়ার হাতেই হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখালেন ভারতীয় সেনার প্রাক্তন জওয়ান জহুর ওয়ামেদ টোকার। সেনা জওয়ানের এ ভাবে জঙ্গি শিবিরে নাম লেখানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।

Advertisement

কাশ্মীরের ফুলওয়ামার বাসিন্দা টোকার জওয়ান হিসেবে বারামুলার ১৭৩ নম্বর টেরিটোরিয়াল আর্মি দফতরে মোতায়েন ছিলেন। গত ৫ জুলাই তিনি নিজের সার্ভিস রাইফেল ও তিনটি ম্যাগাজিন নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পায়নি সেনা। সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তাতে টোকার দাবি করেছেন, তিনি এখন হিজবুলের সদস্য।

আরও পড়ুন: জম্মুতে হানা এনআইএ-র

Advertisement

দু’বছর ধরে বারামুলাতে মোতায়েন ছিলেন টোকার। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাস ধরেই ওই জওয়ান হিজবুল গোষ্ঠীর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। ওই ছাউনির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে টোকারের কাছে তথ্য থাকায় ভবিষ্যতে সেখানে হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বাহিনী থেকে বেরিয়ে সোজা পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চলে যান ওই সেনা। সেখানে শীর্ষ হিজবুল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয় টোকারের। সূত্রের খবর, তাঁকে দলে নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে হিজবুল কম্যান্ড কাউন্সিলের একটি বৈঠকও হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ জঙ্গি নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিনও। ওই বৈঠকেই টোকারের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চূ়ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরেই হিজবুলের পক্ষ থেকে ই-মেল করে এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়। ওই ই-মেলে জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টোকার তাদের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন বলে আশা হিজবুল নেতৃত্বের।

এর আগে বেশ কয়েক জন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের জওয়ান জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু সেনা থেকে সরাসরি জঙ্গি হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এই প্রবণতা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে কেন্দ্র। এই ধরনের ঘটনা রুখতে প্রয়োজনে মনোবিদদের সাহায্য নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন