গ্রেফতারির পর ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে অর্ণবকে। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল ছবি।
বম্বে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিন নাকচ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রিপাবলিক টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।
ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নাইক এবং তাঁর মা কুমুদ নাইককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ৪ নভেম্বর অর্ণবকে গ্রেফতার করে আলিবাগ পুলিশ। ২০১৮ সালে আত্মহত্যা করেন অন্বয় নাইক এবং তাঁর মা। অন্বয়ের সুইসাইড নোটে অর্ণব ছাড়াওফিরোজ শেখ এবং নীতীশ সারদার নামোল্লেখ করা ছিল। অভিযোগ, রিপাবলিক টিভি-র হয়ে কাজ করলেও কনকর্ড ডিজাইনার প্রাইভেড লিমিটেডের নামে এক সংস্থার বকেয়া ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা মেটাননি অর্ণব। ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন অন্বয়। বিপুল পরিমাণ বকেয়ার ফলেই তিনি আর্থিক সমস্যায় প়ড়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মুম্বইয়ের লোয়ার প্যরেলের বাড়ি থেকে গ্রেফতারির পর আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় অর্ণবকে। এর পর ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আলিবাগ জেলের বন্দিদের জন্য তৈরি একটি স্থানীয় কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে নবী মুম্বইয়ের তালোজা জেলে নিয়ে যাওয়া হয় অর্ণবকে। জেল স্থানান্তরের সময় অর্ণবের অভিযোগ ছিল, কোয়রান্টিন কেন্দ্রে তাঁর উপরঅত্যাচার করা হয়েছে। এমনকি, নিজের আইনজীবীর সঙ্গেও তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। যদিও জেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, কোয়রান্টিন কেন্দ্রে থাকাকালীন অন্যের মোবাইলের সাহায্যে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন অর্ণব। প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির সময়েই অর্ণবের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিহারে বিজেপির সাফল্যের কারিগর মোদীই, প্রবণতা দেখে দাবি দলীয় নেতাদের
আরও পড়ুন: লিটমাস টেস্টে পাশ শিবরাজ! মধ্যপ্রদেশে বাঁচল কুর্সি, উপনির্বাচনে এগিয়ে বিজেপি
শনিবার ৪৭ বছরের অর্ণবের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন নাকচ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। তবে জামিনের জন্য তিনি দায়রা আদালতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছিল আদালত। সোমবার দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। পাশাপাশি, জামিন নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন অর্ণব।