লাদাখ নিয়ে চিনের আপত্তি ওড়াল ভারত

সোমবারই জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে লাদাখ এবং কাশ্মীর নামে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপ নিয়ে আপত্তি এবং উদ্বেগ জানিয়ে রাখল চিন। লাদাখ নিয়ে ‘আপত্তি’ এবং কাশ্মীর নিয়ে ‘উদ্বেগ’।

Advertisement

সোমবারই জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে লাদাখ এবং কাশ্মীর নামে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। লাদাখে ভারতের সঙ্গে চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে। আজ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনাইং এ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিম অংশের চিনা ভূখণ্ডে— যা ভারতের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে— ভারতের প্রবেশ নিয়ে চিন বরাবরই আপত্তি জানিয়ে এসেছে। এখন ভারত তার অভ্যন্তরীণ আইনে একতরফা পরিবর্তন করে চিনের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। সেটা কার্যকরী হবে না। চিন এটা মানবেও না।’’

পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা এবং কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে হুয়া বলেন, ‘‘চিন খুবই উদ্বিগ্ন। এই বিষয়টা ভারত ও পাকিস্তানের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উচিত, সংযত ও সাবধানী পদক্ষেপ করা। একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থার পরিবর্তন ঘটানো বা উত্তেজনা বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ এড়িয়ে চলা উচিত।’’

Advertisement

চিনের এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার পাল্টা বলেন, ‘‘সংসদে যে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিল ২০১৯ আনা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণত ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ভারত কারও অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করে না, আশা করা যায় বাকিরাও অনুরূপ আচরণই করবে।’’ ভারত-চিন সীমারেখা প্রসঙ্গে রবীশের বক্তব্য, ‘‘দুই দেশই ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত এবং উভয়ত গ্রহণযোগ্য বন্দোবস্ত মেনে চলছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতেই শান্তি বজায় রাখা হবে।’’ আগামী ১১ তারিখেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বেজিং সফরে যাবেন বলে স্থির হয়ে রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন