গ্রাম-ছাড়া মানুষদের ফেরাতে উদ্যোগ

ইদানীং কালে অনুন্নয়নের জেরে সীমান্তের গ্রাম খালি করে গ্রামবাসীরা কাছের শহরে কাজের আশায় ডেরা বাঁধছেন। ফলে সীমান্তের দৈনন্দিন নজরদারি দুর্বল হয়ে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

ভারত-চিন সীমান্তে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের শহরমুখিতা আটকাতে গ্রামোন্নয়নে জোর দেবে অরুণাচলপ্রদেশ সরকার। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ ভাবে এই কাজ করা হবে।

Advertisement

সেনাসূত্রে খবর, ইদানীং কালে অনুন্নয়নের জেরে সীমান্তের গ্রাম খালি করে গ্রামবাসীরা কাছের শহরে কাজের আশায় ডেরা বাঁধছেন। ফলে সীমান্তের দৈনন্দিন নজরদারি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সেই সুযোগেই চিন ভারতের ৬০০ মিটার ভিতরে ঢুকে পাহাড় কেটে ১২ ফুট চওড়া রাস্তা তৈরি করে ফেলেছিল। পরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের চোখে পড়ায় খবর পায় আইটিবিপি। সে কারণেই সীমান্তে নজরদারি জোরদার করতে গ্রামবাসীদের গ্রামে ফেরত নিয়ে যেতে চায় সেনাবাহিনী।

অরুণাচলপ্রদেশের ৪৫টি সীমান্ত ব্লকের প্রত্যেকটি থেকে অন্তত একটি গ্রাম নিয়ে মোট ৫৩টি সীমান্ত গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেজর জেনারেল ভাস্কর কলিতা ও ব্রিগেডিয়ার এ কে বোরার সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু জানান, সীমান্ত উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সেনাবাহিনীই গুরুত্বপূর্ণ গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করেছে। জেলাশাসক নাম চূড়ান্ত করবেন। উন্নয়নের পাশাপাশি যোগাযোগের জন্য সাসপেনশন সেতু, টহলদার রাস্তায় কুটির তৈরি করা হবে।

Advertisement

অন্য দিকে, দ্রুত যোগাযোগের জন্য অরুণাচলের সঙ্গে রেল যোগাযোগও বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জিএম (নির্মাণ) এন কে প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জানান অসমের শিলাপথার থেকে বামে হয়ে অরুণাচলের আলো পর্যন্ত রেলপথ এবং অসমের উত্তর লখিমপুর থেকে অরুণাচলের জিরো পর্যন্ত রেলপথে কেন্দ্রীয় অনুমোদন মিলেছে। শীঘ্রই জরিপের কাজ শুরু হবে। মার্গারিটা থেকে দেওমালি, ইটাখোলা থেকে সেইজোসা পর্যন্ত রেলপথের জরিপের কাজও শেষ বলে প্রসাদ জানান। ডুমডুমা-নামসাই-ওয়াক্রো, ডাংগ্রি-রোয়িং, ডেওমালি-নাহরকটিয়া, খারসাং-মিয়াও রেলপথের জরিপ চলছে। পাসিঘাট থেকে মুরকংসেকেল ও তেজু-পরশুরামকুণ্ড পর্যন্ত লাইন পাতার কাজও হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন