মায়ের সঙ্গে দেখা, টুইট-বিতর্কে মোদী

ছুটি কাটিয়ে বিদেশ থেকে ফিরে রাহুল গাঁধী দেখা করলেন মা সনিয়ার সঙ্গে। হাজারো টানাপড়েনের পরে লখনউয়ে আজ সাতসকালেই অখিলেশ পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবা মুলায়মের সঙ্গে দেখা করতে। আর ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আজ দেখা করলেন তাঁর মা হীরাবেনের সঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৯
Share:

ছুটি কাটিয়ে বিদেশ থেকে ফিরে রাহুল গাঁধী দেখা করলেন মা সনিয়ার সঙ্গে। হাজারো টানাপড়েনের পরে লখনউয়ে আজ সাতসকালেই অখিলেশ পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবা মুলায়মের সঙ্গে দেখা করতে। আর ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আজ দেখা করলেন তাঁর মা হীরাবেনের সঙ্গে।

Advertisement

বাবা ও মায়ের সঙ্গে রাজনীতিকদের আজ এই দেখা করার হিড়িক দেখে এক নেতা তো বলেই ফেললেন, আজ ‘পেরেন্টহুড’ দিবস নাকি?

কিন্তু এত কিছুর মধ্যে মায়ের সঙ্গে মোদীর দেখা করার ঘটনা তৈরি করল বিতর্ক। সন্তান যদি মায়ের সঙ্গে দেখা করেন, তা নিয়ে কোনও রকম বিতর্ক থাকতে পারে না। কিন্তু মায়ের সঙ্গে দেখা করার পরে সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী আজ যে ভাবে টুইট করলেন, বিতর্ক তা নিয়েই। ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এ সামিল হতে গত কালই গাঁধীনগর পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। আর আজ সকালে নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেন, ‘‘ভোরে যোগব্যায়াম না করে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে প্রাতরাশও করলাম। একসঙ্গে ভাল সময় কাটালাম আজ।’’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর এই টুইটের পরেই ঝড় উঠতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই প্রশ্ন করেন, মায়ের সঙ্গে দেখা করার বিষয়কে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলার কী আছে? আর দেখাই যদি হল, তার জন্য আজ যোগ ব্যায়াম করতে পারেননি, সেটিই বা ফলাও করে বলার কী প্রয়োজন ছিল? পিছিয়ে থাকেননি রাজনীতিকরাও। যেমন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

মোদীকে নিশানা করে তিনি টুইট করে বলেন, ‘‘আমিও আমার মায়ের সঙ্গে থাকি। রোজ আশীর্বাদ নিই। কিন্তু ঢাক পেটাই না। নিজের রাজনীতির জন্য মাকে ব্যাঙ্কের লাইনেও দাঁড় করাই না।’’ কেজরীবাল এখানেই ইতি টানেননি। মোদীকে ‘হিন্দু ধর্ম’ ও ‘ভারতের সংস্কৃতি’–র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কেজরীবাল বলেন, ‘‘বৃদ্ধ মা ও স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অনেক বড়, একটু হৃদয়টাও বড় করুন।’’ মোদী-রাজ্যের কংগ্রেস নেতা শক্তিসিন গোহিলও বলেন, ‘‘সব ঘটনাকে ‘ইভেন্ট’-এ পরিণত করা নরেন্দ্র মোদীর পুরনো অভ্যাস।’’

যা দেখে বিজেপি নেতারা বলছেন, কংগ্রেস নেতারা তাদের ‘যুবরাজের’ কথা ভাবুন। ভোটের মুখে একটানা অনেক দিন বিদেশে কাটিয়ে দিল্লি ফিরেছেন তিনি। দিল্লি ফেরার এই ছোট্ট কথাটা দুনিয়াকে জানাতে মা-কে নিজের বাড়িতে ডাকছেন রাহুল।
তার পর আবার গাড়ি চালিয়ে মা-কে দশ জনপথে দিয়ে আসছেন। এটি ইভেন্ট নয়?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন