কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ বার দু’দিক থেকে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। এক দিকে আইনি পথের মাধ্যমে কেন্দ্রের অবাঞ্চিত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব। অন্য দিকে নিয়োগ বিতর্কটিকে এ বার সরাসরি জনতার দরবারে নিয়ে দিল্লিবাসীর সহানুভূতি কুড়োনোর পরিকল্পনা নিলেন আম আদমি পার্টি (আপ) নেতৃত্ব।
মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রথম পর্বে একাধিক পথসভায় দিল্লিবাসীর রায় নিয়ে সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেজরীবাল। এ বার দ্বিতীয় পর্বের গোড়াতেই কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত শুরু হতেই সেই জনতার দরবারে গিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যার সিদ্ধান্ত নিলেন কেজরীবাল।
সরকারের একশো দিনের পূর্তিতে আগামিকাল সন্ধ্যায় দিল্লির কনট প্লেসের সেন্ট্রাল পার্কে ‘জন সংবাদ’ নামে একটি আলোচনা শিবিরের আয়োজন করেছে দল। যেখানে সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি কেজরীবালের উপস্থিতিতে নিজেদের সমস্যার কথা সরাসরি জানাতে পারবেন দিল্লিবাসীরা। সরকারি ভাবে সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরার জন্য এই পদক্ষেপ হলেও আসলে উপরাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্র দিল্লির নির্বাচিত সরকারের কাজে কী ভাবে হস্তক্ষেপ করে তাদের সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছে না তা জনতার কাছে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছেন কেজরীবাল। কেন্দ্র বিরোধী লড়াইয়ে জনতাকে পাশে পেতেই এই কৌশল নিয়েছে আপ নেতৃত্ব।
অন্য দিকে বিষয়টি বিধানসভাতেও তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে আপ শিবির। চলতি বির্তকের সূত্রপাত হয়েছিল দিল্লির অস্থায়ী মুখ্যসচিব শকুন্তলা গামলিনকে উপরাজ্যপাল নজীব জঙ্গ নিয়োগ করার পর। বিতর্ক থামাতে দিল্লির উপরাজ্যপালের হাতে ঠিক কী ধরনের ক্ষমতা রয়েছে তার ব্যাখ্যা করে একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও আপ শিবিরের দাবি, এ ভাবে নির্বাচিত সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই উপরাজ্যপালের। বিষয়টি নিয়ে সংশয় এড়াতে তাই জুনের পরিবর্তে তড়িঘড়ি আগামী ২৬-২৭ মে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ। যেখানে গোটা বিষয়টি নিয়ে দলের অবস্থান অন্য বিধায়কদের কাছেও তুলে ধরবেন কেজরীবালেরা।
ইতিমধ্যেই ওই নির্দেশিকাটি নিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ কে কে বেণুগোপাল, প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে আলোচনা করেছেন আপ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের রায় আপ শিবিরের পক্ষে থাকায় তড়িঘড়ি ওই অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে একটি বিশেষ প্রস্তাব আনার চিন্তাভাবনা রয়েছে দলের মধ্যে।