কেজরীবাল আর জঙ্গের যুদ্ধে উলুখাগড়া সচিব

মুখ্যমন্ত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও কার্যনির্বাহী মুখ্যসচিব হিসেবে শকুন্তলা গামলিনের নিয়োগপত্র জারি করায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটা শুনেছিলেন তিনি। কিন্তু দফতরে গিয়ে এমন অবস্থার সম্মুখীন হবেন, তা বোধ হয় ভাবেননি দিল্লি সরকারের কর্মিবর্গ দফতরের সচিব অনিন্দ্য মজুমদার। এ দিন নির্দিষ্ট সময়ে দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনিন্দ্যবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৫ ০৩:৩০
Share:

শকুন্তলা গামলিন।

মুখ্যমন্ত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও কার্যনির্বাহী মুখ্যসচিব হিসেবে শকুন্তলা গামলিনের নিয়োগপত্র জারি করায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটা শুনেছিলেন তিনি। কিন্তু দফতরে গিয়ে এমন অবস্থার সম্মুখীন হবেন, তা বোধ হয় ভাবেননি দিল্লি সরকারের কর্মিবর্গ দফতরের সচিব অনিন্দ্য মজুমদার।

Advertisement

এ দিন নির্দিষ্ট সময়ে দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনিন্দ্যবাবু। কিন্তু গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরের দরজায় ঝুলছে মস্ত তালা! সচিবালয় সূত্রের খবর, খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের নির্দেশে তালা লাগানো হয়েছে। তাই সচিবের ঘরের তালা খোলার সাহস দেখাননি কোনও কর্মী। শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে বাধ্য হন অনিন্দ্যবাবু। দিল্লি সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, অনিন্দ্যবাবুর জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে রাজেন্দ্র কুমারকে। ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। সে দিনই দিল্লির উপ-রাজ্যপাল নজীব জঙ্গের নির্দেশ মেনে দিল্লির কার্যনির্বাহী মুখ্যসচিবের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শকুন্তলা গামলিন।

কেজরীবালের অনিচ্ছা সত্ত্বেও গামলিনের নিয়োগপত্র জারি করায় সে দিনই কর্মিবর্গ দফতরের সচিব অনিন্দ্য মজুমদারকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপ সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে তিনি কতটা ক্ষুব্ধ, তা বোঝাতেই অনিন্দ্যবাবুর ঘরে তালা ঝোলানোর অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘটনায় কেজরীবাল এবং জঙ্গের বিরোধ নয়া মাত্রা পেয়েছে। আজ কেজরীবালকে চিঠি লিখে জঙ্গ স্পষ্ট জানিয়েছেন, অনিন্দ্যকে সরানো এবং রাজেন্দ্রকে তাঁর জায়গায় বসানো— দু’টি প্রক্রিয়াই অবৈধ। কারণ এই দু’টি ক্ষেত্রেই তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি।

Advertisement

তবে জঙ্গের এই চিঠিকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ কেজরীবাল শিবির। তাদের মতে, কোন আমলাকে কোন দফতরে নিয়োগ করা হবে সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার। উল্টে উপ-রাজ্যপালের চিঠি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জঙ্গকে একহাত নিয়েছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। পাশাপাশি জঙ্গকে লেখা চিঠিতে সিসৌদিয়া জানিয়‌েছেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখছেন কেজরীবাল।

প্রথম থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করছেন, আপ সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করতে তৎপর কেন্দ্র। এতে কেন্দ্রর প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছেন জঙ্গ। এর বিহিত করতে গত শনিবার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে সময় চেয়েছিলেন কেজরীবাল। দিল্লি সরকার সূত্রে খবর, আগামিকাল সন্ধে সাড়ে ছ’টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন কেজরীবাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement