ATM

দেশ জুড়ে বন্ধ হতে পারে বহু এটিএম!

বেড়েই চলেছে এটিএম খাতে লোকসানের বহর। তাই মন্দার বাজারে টিকে থাকতে ‘আন্তঃব্যাঙ্ক বিনিময় মূল্য’ বা ‘ইন্টারচেঞ্জ ফি’ বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করল ব্যাঙ্কগুলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৪৩
Share:

এটিএম রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেড়েই চলেছে বলে দাবি ব্যাঙ্কগুলির।

বেড়েই চলেছে এটিএম খাতে লোকসানের বহর। তাই মন্দার বাজারে টিকে থাকতে ‘আন্তঃব্যাঙ্ক বিনিময় মূল্য’ বা ‘ইন্টারচেঞ্জ ফি’ বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করল ব্যাঙ্কগুলি। এমনিতেই চলতি বছরে ক্ষতির মাশুল গুনতে দেশ জুড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দু’হাজারেরও বেশি এটিএম। সুতরাং এই সিদ্ধান্ত কার্যকর না হলে আরও বাড়বে সেই সংখ্যা।

Advertisement

এক ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য যে মাশুল ধার্য করা আছে, তাকেই ‘ইন্টারচেঞ্জ ফি’ বলা হয়। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং ভারতীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে ব্যাঙ্কগুলি দাবি করেছে যে, দেশ জুড়ে এটিএম চালাতে গিয়ে লাভের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণই বেশি হচ্ছে তাদের। এই ক্ষতির পরিমাণ কমানোর জন্য অবিলম্বে ‘ইন্টারচেঞ্জ ফি’ বাড়ানো উচিত। নয়া ব্যবস্থা কার্যকর হলে, নগদ টাকা তোলা এবং কার্ড-টু-কার্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে মাশুল ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৮ টাকা হতে পারে। আর্থিক লেনদেন ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে মাশুলের হার ৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮ টাকা হতে পারে।

দেশ জুড়ে দুই লক্ষেরও বেশি এটিএম পরিষেবা সচল রাখতে ব্যাপক লগ্নি করতে হয় ব্যাঙ্কগুলিকে। সফটওয়্যার থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, জায়গার ভাড়া এবং সুরক্ষা খাতে প্রচুর খরচ হয়। সব মিলিয়ে দেশ জুড়ে এটিএম পরিষেবা সচল রাখতে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা খরচ হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। এ ছাড়াও ভিসা, মাস্টারকার্ড, রুপে-র মতো আর্থিক লেনদেনকারী মাধ্যমগুলিকেও পরিষেবা দিতে হয় ব্যাঙ্কের এটিএমগুলিকে। সেই সঙ্গেই এটিএমগুলিতে নগদ টাকা ভরার কাজটিও যথেষ্ট ব্যায়সাধ্য বলে জানানো হয়েছে ব্যাঙ্কের তরফে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঝাঁপ বন্ধ বেশির ভাগ এটিএমেরই

এই প্রসঙ্গে সংসদে অর্থ মন্ত্রকের তরফে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে যে, গত ৪২ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে ন্যুনতম ব্যালেন্স না রাখার জন্য এবং অনুমোদিত সংখ্যার পরেও অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি জরিমানা হিসেবে সংগ্রহ করেছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও মাসিক ৪৪০ কোটি টাকার তুলনায় সেই পরিমাণ অনেকটাই কম।

আরও পড়ুন: ‘পোজ় না দিয়ে শ্রমিক বাঁচান’! খনি-কাণ্ডে তির রাহুলের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন