অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি টেলিভিশন আদায় করে বিপাকে পড়লেন করিমগঞ্জ সদর থানার সেরেস্তাদার রাজু রঞ্জন। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপ রঞ্জন কর তাকে বদলি করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশ সুপার তিনটি পিস্তল, একটি গাড়ি-সহ বুরহানুদ্দিন এবং আব্দুল রউফকে গ্রেফতার করেন। আদালতের নির্দেশে তাদের পাঁচদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়। নিজেদের রক্ষা করতে বুরহান এবং রউফ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা জানান। ইতিমধ্যে করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। বিশ্বরূপবাবুর কাছ থেকেই পুলিশ সুপার জানতে পারেন, অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে থানায় একটি এলইডি টিভি আদায় করেছেন সেরেস্তাদার এএসআই রাজু রঞ্জন। এবং তার বিনিময়েই হেফাজতে থাকা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের হাজতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। থানার লকআপে সাধারণ খাবারের পরিবর্তে মাংস-ভাত, এমনকী টেবিল ফ্যানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করিমগঞ্জ সদর থানায় এ ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন পুলিশ সুপার। তিনি এ নিয়ে সদর থানার ওসি শঙ্কর মণ্ডলের কাছে কৈফিয়ৎ চান। ওসি জানান, তিনি বিষয়টি জানতেন না। পুলিশ সুপার রাজু রঞ্জনকে শোকজ করে তৎক্ষণাৎ তার পদ থেকে সরিয়ে দেন। তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই এলইডি টিভি থানায় লাগানো হলেও আজ অবশ্য তা থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।