স্বশাসিত পরিষদের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাফলঙে হাজির অসমের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বি আচার্য। তিনি নিজেই সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের অধীনে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ গঠিত হয়েছে। পরিষদের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমার দায় রয়েছে। বিভিন্ন দফতরের কাজের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতেই আমি হাফলঙে এসেছি।’’
আজ হাফলং আবর্ত ভবনে অসমের রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানান, উন্নয়নের জন্য পরিষদকে বছরে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই অর্থ সঠিক ভাবে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তাও তিনি দেখবেন। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বহু অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে।
কিন্তু ডিমা হাসাও জেলায় শিক্ষা ব্যবস্থার হাল করুণ। স্কুলগুলিতে শিক্ষক নেই, মিড ডে মিলের ব্যবস্থা নেই। পরিষদের সাধারণ কর্মচারীদের বেতন বাকি পড়ছে।’’ পরিষদের প্রধান হিসেবে তিনি পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ও অফিসারদের কাছে এর কারণ জানতে চান।
রাজ্যপাল পি বি আচারিয়া সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, পরিষদের নির্বাচিত কিছু সদস্যও তাঁর কাছে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। পরিষদ সদস্য এবং অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হবেন তা রাজ্যপাল স্পষ্ট ও কড়া ভাবেই জানিয়ে দেন।