Assam

অসমে এসে পরিস্থিতি খারাপ করবেন না, মমতাকে পরামর্শ হিমন্তের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সুপার ইমারজেন্সি’ চলছে। শুক্রবার এই প্রথম মুখ খুললেন সোনোয়াল সরকারের সেকন্ড ইন কমান্ড হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কী বললেন তিনি?

Advertisement

সিজার মণ্ডল

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৮ ১৭:৪৫
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে আক্রমণ শানালেন সোনোয়াল সরকারের সেকন্ড ইন কমান্ড হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নিজস্ব চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সহযোগিতা চাইল অসম সরকার। বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়কের প্রতিনিধি দলকে অসমের শিলচর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সুপার ইমারজেন্সি’ চলছে।

Advertisement

আর তার উত্তরেই অসম সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনার পর শুক্রবার এই প্রথম মুখ খুললেন সোনোয়াল সরকারের সেকন্ড ইন কমান্ড হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

সচিবালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমার অনুরোধ তিনি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। এখানে এসে অসমের পরিস্থিতি খারাপ করবেন না।”

Advertisement

আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকারীর মত ব্যবহার করেছে অসম প্রশাসন, কলকাতায় ফিরে ক্ষোভ তৃণমূল প্রতিনিধিদলের

অসমের অর্থ, স্বাস্থ্য সমেত একাধিক দফতরের দায়িত্বে থাকা এই মন্ত্রী বলেন, নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেল ৪০ লাখ মানুষের নাম নেই। মমতাকে কটাক্ষ করে হিমন্ত বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায় তো সে বিষয় নিয়ে কোনও ধারণাই নেই। এ রকম স্পর্শকাতর একটা সময়ে রাজ্যের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা কতটা কঠিন, তা তাঁর তো বোঝা উচিত। তিনি নিজেও তো একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

হিমন্তের কথায়: ‘‘আমি সেই কারণেই সহযোগিতা চাইছি তাঁর কাছে। তাঁকে আমি বলতে চাই, এই কঠিন পরিস্থিতিতে একটা স্ফুলিঙ্গ থেকেই দাবানল ছড়িয়ে পড়তে পারে। হিমন্ত স্পষ্ট বলেন, “এটা বয়ানবাজি আর শোরগোল করার সময় নয়।”

ঠাঁইনাড়া হওয়ার আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘে ডরাচ্ছে অসমবাসী।ছবি: পিটিআই।

তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে শিলচরে ঢুকতে না দেওয়া প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, “আমাদের জেলাশাসক প্রত্যেক সাংসদকে ফোন করে বলেছিলেন, আরও ক’দিন পরে ওখানে যেতে। তত দিনে মানুষের প্রাথমিক সংশয় কেটে যেত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকত না।” কিন্তু সেই অনুরোধে তাঁরা কান দিলেন না। উল্টে তাঁদের দলনেত্রী গোটা বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক মোড়ক দিয়ে রাজনীতি করছেন। তাই আমি বার বার তাঁর সহযোগিতা চাইছি।”

আরও পড়ুন: অসমে প্রবেশ নিষেধ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এই বিজেপি নেতা বলেন, তিনি যে অভিযোগ করছেন বাঙালিদের নাম তালিকাভুক্ত হয়নি, সেটা ঠিক নয়। অনেক অহমীয়া মানুষেরও নাম নেই। সেই কারণেই আবার ‘ক্লেম এবং অবজেকশন’ দেওয়ার সুযোগ থাকছে। হিমন্তের মন্তব্য: ‘‘আমাদের একটাই উদ্দ্যেশ্য— কোনও বৈধ নাগরিকের নাম যাতে বাদ না যায় এবং অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা যায়। সেই কাজের মূল ফোকাসই হারিয়ে যাবে যদি এ রকম উস্কানি দিতে থাকে কিছু মানুষ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন