প্রভাব পড়বে না, ঢাকাকে বলছে দিল্লি

ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরেরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০৪:০০
Share:

এনআরসি কেন্দ্রের বাইরে ভিড়। —ফাইল চিত্র।

এনআরসি বিতর্কের আঁচ যে বাংলাদেশে পড়তে দেওয়া হবে না— ঢাকাকে এখন পই পই করে বোঝাচ্ছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

শীর্ষ সূত্রের খবর, এনআরসি বিতর্ক ভারতের মাটিতে আছড়ে পড়ার পর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দেখা করেছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। ঢাকাকে জানানো হয়েছে— নাগরিক পঞ্জি তৈরির প্রক্রিয়া একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে যাতে তা ছায়াপাত না-করে সে জন্য সব রকম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক স্তরেও একই বার্তা দিয়ে ঢাকাকে নিশ্চিন্ত করতে চাইছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরেরও।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বলেছিলেন, ‘‘একাত্তরের পরে এখনও ভারতের কোনও সরকারই বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিকদের নিয়ে সমস্যার কথা বলেননি। অসমে যা ঘটছে, তা অভ্যন্তরীণ জনজাতির সমস্যা।’’ তবু গোটা ঘটনায় যথেষ্টই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জর্জরিত শেখ হাসিনা সরকার। তাই নতুন কোনও শরণার্থী সঙ্কট ভোটের মুখে দাঁড়ানো বাংলাদেশ সরকারের কাছে কাম্য নয়।

Advertisement

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ২০১৯-এর ভোটেও ভারতে অবৈধ মুসলমান অনুপ্রবেশকারীর প্রসঙ্গটিকে প্রচারের হাতিয়ার করবেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। আরও তিনটি রাজ্যেও এই প্রসঙ্গটিকে তুলে মেরুকরণকে উস্কানি দেবে বিজেপি— এমন অভিযোগ ইতিমধ্যেই তুলতে শুরু করেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। কিন্তু এই প্রচারে যাতে কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি না তৈরি হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে সমান্তরাল ভাবে তৎপর হয়েছে মোদী সরকার। আর সে কারণেই এই আপৎকালীন দৌত্য করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন