মঞ্চে: মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় নির্বাচনী সভায় মোদী। রবিবার। পিটিআই
দলিত নেতা সীতারাম কেশরীকে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরানো নিয়ে গাঁধী-নেহরু পরিবারকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ছত্তীসগঢ়ে ভোটের প্রচারে গিয়ে মোদী আজ বলেন, সনিয়া গাঁধীকে রাস্তা ছেড়ে দিতে কংগ্রেস সীতারাম কেশরীকে দলের সভাপতি পদ থেকে হটিয়ে ফুটপাতে ফেলে দিয়েছিল। এমনকি তাঁকে বাথরুমে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কয়েক দিন আগেই মোদী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, গাঁধী-নেহরু পরিবারের বাইরের কাউকে দলের সভাপতি করে দেখাক কংগ্রেস। তার পরেই কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম দলের ১৫ জন সভাপতির নাম সামনে আনেন, যাঁরা নেহরু পরিবারের সদস্যই ছিলেন না। আজ কংগ্রেসের সেই দাবি নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
ছত্তীসগঢ়ে শেষ দফার ভোটের প্রচারের আজই ছিল শেষ দিন। মহাসমুন্দে এক জনসভায় পুরনো বিতর্কের কথা টেনে মোদীর মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস বলছে, চাওয়ালা নাকি প্রধানমন্ত্রী হয়েছে জওহরলাল নেহরুর দয়ায়। আমি কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছি, নেহরু যদি এমনই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উত্তরাধিকার দিয়ে থাকেন, তা হলে ওই একটি বিশেষ পরিবারের বাইরের কাউকে পাঁচ বছরের জন্য সভাপতি করে দেখাক কংগ্রেস।’’ এর পরেই প্রধানমন্ত্রী টেনে আনেন কেশরীর কথা। বলেন, ‘‘দেশের মানুষ সীতারাম কেশরীকে দলিত নেতা হিসেবেই জানে। কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে তাঁকে পাঁচ বছরের সময়সীমা শেষ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। মানুষ জানেন, কেশরীজিকে বাথরুমে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তাঁকে ফুটপাতে বসিয়েছিল কংগ্রেস। সব হয়েছিল সনিয়া গাঁধীকে সভানেত্রীর পদে বসানোর রাস্তা করে দিতে।’’
পাল্টা আক্রমণে নেমেছে কংগ্রেসও। দলের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারী বলেন, ‘‘কেশরী দলিত নন, ওবিসি ছিলেন। তিনি বিহারের বানিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেনি কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী কবে সঠিক তথ্য দিয়ে কথা বলবেন?’’
কংগ্রেসের আর এক নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার টুইটারে মন্তব্য, ‘‘রোজই নতুন নতুন মিথ্যে কথা বলা মোদীজির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দয়া করে নিজের দিকে তাকিয়ে জবাব দিন, লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, কলরাজ মিশ্র, কেশুভাই পটেল, হারীণ পান্ড্য, সুরেশভাই মেটা, সঞ্জয় জোশীর মতো বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আপনি কেমন আচরণ করেছেন?’’
রাহুলকে নিশানা মোদীর : রাফাল নিয়ে রাহুল গাঁধীর প্রশ্নের জবাব না দিলেও মধ্যপ্রদেশের ভোটের প্রচারে গিয়ে তাঁকে আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। রাহুল বলেছিলেন, ‘‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’’ মোদী আজ ছিন্দওয়াড়ায় বলেন, ‘‘নামদার অভিযোগ করছেন। ওঁর অনেক সমস্যা। দুঃখের মধ্যে আছেন। হিন্দি, ইংরেজি সব অভিধান থেকেই গালিগালাজ করছেন।’’ মোদীর দাবি, রাহুল কংগ্রেসের ভাল করতে পারবেন না।