প্রচার: রাজস্থানের অলওয়ারে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার। পিটিআই
ভোটযুদ্ধে দুই শিবিরের দুই কান্ডারির মুখেই ভারতমাতার কথা! এক জনের কটাক্ষের জবাব এড়িয়ে অন্য জনের স্লোগান! আর এই তরজা ঘিরেই প্রচারের শেষ দিনে উত্তাপ ছড়াল মরুরাজ্যের বিধানসভা ভোটে।
সাধারণত নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদী বক্তৃতা শুরু করেন ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলে। ভোটমুখী রাজস্থানের অলওয়ারে মঙ্গলবার সভা করতে গিয়ে সেটা নিয়েই মোদীকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। রাফাল-নীরব মোদী-মেহুল চোক্সীদের নাম টেনে এনে মালাখেরা
এলাকার ওই সভায় রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘উনি বক্তৃতা শুরু করার আগে ‘ভারতমাতা কি জয়’ না বলে বরং ‘অনিল অম্বানী কি
জয়, মেহুল চোক্সী কি জয়, নীরব মোদী কি জয়, ললিত মোদী কি জয়’ বলুন!’’ এর পরেই রাহুল বলেন, ‘‘ভারত মাতার কথা বলে চাষিদের কথা কি করে ভুলে
যান উনি?’’
রাফাল নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মোদীকে টানা নিশানা করছেন রাহুল। এই প্রসঙ্গেই মোদীকে কটাক্ষ করে তাঁর তৈরি স্লোগান ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বিজেপি নেতাদের কাছে বড় কাঁটা। এ দিন অলওয়ারের সভাতেও রাহুল বলেন, ‘‘মোদী কোথাও রাফালের প্রসঙ্গ তোলেন না। কারণ ওঁর ভয় যে, এ নিয়ে কথা
বললেই জনগণ বলে উঠবে, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’!’’
কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, রাফাল চুক্তি করতে গিয়ে আমজনতার ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করে নিজের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিকে পাইয়ে দিয়েছেন মোদী।
রাহুলের এই সভার কয়েক ঘণ্টা পরেই সীকরে এক জনসভায় প্রসঙ্গটি তোলেন মোদী। তবে ঘুরিয়ে। রাহুলের তোলা প্রসঙ্গের উল্লেখ না করে মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের একজন ‘নামদার’ আছেন। তিনি ফতোয়া দিয়েছেন, মোদী নির্বাচনী সভা ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলে শুরু করতে পারবেন না! এবং সে কারণে আমি লক্ষ লোকের সামনে সেই
ফতোয়া উড়িয়ে দশ বার বলছি, ‘ভারতমাতা কি জয়’।’’
রাহুলের অভিযোগের পাল্টা দিতে গিয়ে মোদী যা বলেছেন, তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, বিনা কারণেই জাতীয়তাবাদের সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু তাতে কোনও ভাবেই বিজেপির দুর্নীতি ঢাকা যাচ্ছে না।