দলকে ‘সতর্ক’ থাকার নির্দেশ দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল দেখে রাহুল গাঁধীর দলকে নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন কংগ্রেসের তৎপরতা নিয়ে দলকে ‘সতর্ক’ থাকার নির্দেশ দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
রাহুল ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভোট হয়ে যাওয়ার পরেও বিজেপি ভোটযন্ত্রে (ইভিএম) কারচুপি করতে পারে। ভোট হয়ে যাওয়া রাজ্যগুলিতে ইভিএমে কারচুপির যেমন আশঙ্কা আছে, তেমনই গণনার দিনেও বিজেপি হিসেবের গরমিল করতে পারে বলে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের আশঙ্কা। ভোট-পর্ব মিটে যাওয়ার পরে ইভিএম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ বিরোধীদের সেই আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় দলের কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। কংগ্রেসের এই তৎপরতা দেখেই অমিত আজ ফোন করেন দলের তিন মুখ্যমন্ত্রী— শিবরাজ সিংহ চৌহান, বসুন্ধরা রাজে এবং রমন সিংহকে। ভোট গণনার দিন বিজেপিকেও ‘তৈরি’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অমিত শাহের নির্দেশ পাওয়ার পরেই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজ নিজ রাজ্যে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং দাবি করেন, জয় তাঁদেরই হবে। বেশির ভাগ বুথফেরত সমীক্ষার অবশ্য অনুমান, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি ক্ষমতা হারাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। বিজেপির দাবির পরে কংগ্রেসের পি চিদম্বরম আজ বলেন, ভোটের ফল ঘোষণা করতে একটু দেরি হলেও কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ইভিএম নিয়ে যখন সংশয় তৈরি হয়েছে, তখন সব ভোটযন্ত্রের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের হিসেব মিলিয়ে দেখতে হবে।
কংগ্রেস শিবিরের তৎপরতা দেখে শিবরাজ বলেন, ‘‘হতাশা থেকেই কংগ্রেস প্রথমে ইভিএম এবং এখন নির্বাচন কমিশনকেও সন্দেহ করেছে। ভোট গণনার দিন কংগ্রেস বাধা তৈরি করার চেষ্টা করবে। বিজেপি সভাপতি সতর্ক থাকতে বলেছেন।’’ কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, ভোটদান পর্ব মিটে যাওয়ার ২-৩ দিন পরে ইভিএম হোটেলে, থানায়, কখনও বিজেপি নেতার বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে! স্ট্রংরুমে ঢুকছে বাইরের লোক! তেলঙ্গানায় ২২ লক্ষ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ে গিয়েছে। যেটি মোট ভোটারের প্রায় ৮ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন শুধু ‘দুঃখপ্রকাশ’ করেই ক্ষান্ত। এই পরিস্থিতিতে সংশয়ের যথেষ্ট কারণ থাকছেই বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।