ভোটে পাইলট-গহলৌত, রাজস্থানে কৌশলী রাহুল

মধ্যপ্রদেশে যা করেননি, রাজস্থানে তা করলেন রাহুল গাঁধী। রাজস্থানে দলের দুই বিবদমান নেতা অশোক গহলৌত আর সচিন পাইলট— উভয়কেই নামাচ্ছেন ভোটের ময়দানে। বিজেপির সাংসদ হরীশচন্দ্র মীনাকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ানোর জন্য আজ এআইসিসি দফতরে আসেন গহলৌত ও পাইলট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৩
Share:

রাজস্থানে দলের দুই বিবদমান নেতা অশোক গহলৌত আর সচিন পাইলট— উভয়কেই ভোটের ময়দানে নামাচ্ছেন রাহুল গাঁধী।

মধ্যপ্রদেশে যা করেননি, রাজস্থানে তা করলেন রাহুল গাঁধী। রাজস্থানে দলের দুই বিবদমান নেতা অশোক গহলৌত আর সচিন পাইলট— উভয়কেই নামাচ্ছেন ভোটের ময়দানে। বিজেপির সাংসদ হরীশচন্দ্র মীনাকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ানোর জন্য আজ এআইসিসি দফতরে আসেন গহলৌত ও পাইলট। সেখানেই সাংবাদিক বৈঠকে গহলৌত ঘোষণা করেন, ‘‘বিজেপিকে হারাতে আমরা সকলে ভোটে লড়ব। আমিও লড়ব। সচিন পাইলটও। কোনও বিবাদ নেই। সকলে একজোট।’’ সচিনও জানান, রাহুল গাঁধীর ‘নির্দেশে’ আর অশোক গহলৌতের ‘নিবেদনে’ তিনিও ভোটে দাঁড়াবেন।’’

Advertisement

দলের এক নেতা বলেন, ‘‘হয় দু’জনকেই প্রার্থী করতে হত, না হলে কাউকেই নয়। ভোটের পরে আলোচনা করে স্থির হবে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন।’’

গহলৌতকে রাজস্থান থেকে দিল্লিতে এনে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের খবর, গহলৌতের মন পড়ে রাজস্থানে। মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। আবার তাঁর সঙ্গে সচিনকেও প্রার্থী না করা হলে বিপদ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেবে ফের। তা-ও এমন সময়ে, যখন রাজস্থানে ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা দেখছে কংগ্রেস। সচিন বিধানসভায় লড়ার পক্ষপাতী ছিলেন না। ঐক্যের বার্তা দিতে গিয়ে সম্ভবত তাই তিনি রাহুলের নির্দেশের পাশাপাশি গহলৌতের নিবেদনের কথা বলেছেন। যার অর্থ অনুরোধও হয়, আবার আর্জিও হয়।

Advertisement

নেতাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হওয়ায় ক’দিন আগে মধ্যপ্রদেশে অবশ্য উল্টো পথই নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। টিকিট নিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আর দিগ্বিজয় সিংহ বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আর কমলনাথ দিগ্বিজয়ের সঙ্গে। সেখানে এই তিন নেতার কাউকেই প্রার্থী করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement