‘পাইলট’ অশোক গহলৌত। আর ‘কো-পাইলট’-এর ভূমিকায় সচিন পাইলট!
মধ্যপ্রদেশের পর রাহুল গাঁধী আজ রাজস্থানের জট ছাড়ানোর পরে এই কথাটিই ঘুরপাক খাচ্ছে দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে। গত কাল রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রাহুল অশোক গহলৌত আর সচিনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর আজ সকালে ফের আলোচনায় বসেন। শেষে দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলে টুইট করেন: ‘‘রাজস্থানের ঐক্যের রং।’’ গহলৌতকে মুখ্যমন্ত্রী আর পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে যে ঐক্য রচনা ছিল রাহুলের কাছে প্রধান কাজ। কারণ, রাজস্থানে গহলৌতই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু দাবি ছাড়েননি সচিন। শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশেও কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রী করার ক্ষেত্রে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে যা দিতে হয়নি, রাজস্থানে সচিনকে তা দিতে হল রাহুলকে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে সম্ভবত দলের সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৯-এর লড়াইয়ের জন্য নিজের টিমে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাহুল।
রাজ্যে দলের সভাপতির পদেও থাকবেন সচিন। দলের সূত্রের মতে, রাহুলকে সচিন বলেছেন, পাঁচ বছর ধরে রাজস্থানের সভাপতি হিসেবে দলকে একজোট করেছেন। গহলৌত দিল্লিতে ছিলেন। এখন কেন তাঁকে স্রেফ ‘গুজ্জর’ নেতা বলে সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে? ভোটের আগে কংগ্রেসেরই বিক্ষুব্ধদের নির্দল হিসেবে ভোটে লড়িয়ে গহলৌত নিজের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে চেয়েছেন। তাঁকে কেন এখন পুরস্কৃত করা হবে? কিন্তু রাহুল জানেন, রাজস্থানে টায়টোয়ে পাশ করা কংগ্রেসকে লোকসভা ভোটের আগে পোক্ত করতে গহলৌতের মতোই অভিজ্ঞ হাত দরকার। উপেক্ষা করতে পারেননি সচিনের যুক্তিও। পরে গহলৌত-সচিন আজ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন। সচিন বলেন, ‘‘দু’জনের জাদুই চলেছে।’’ গহলৌতের পূর্বজ জাদুগর ছিলেন। সচিন বোঝালেন, ‘জাদু’ গহলৌতের একার নয়।
আরও পড়ুন: সন্দেহ নেই রাফালে, বলল সুপ্রিম কোর্ট
ছত্তীসগঢ়ের দাবিদার তাম্রধ্বজ সাহু, ভুপেশ বাঘেল এবং টি এস সিংহদেওয়ের সঙ্গেও রাহুল আজ বৈঠক করেন। রায়পুরে নাম ঘোষণা হবে কাল। তিন রাজ্যেই শপথ হতে পারে সোমবার। থাকবেন রাহুল। যেতে পারেন সনিয়া গাঁধীও। ডাকা হতে পারে বাকি অ-বিজেপি দলকেও।