নির্বাচনের চমক! ভোট দিলেই মিলতে পারে বাইক, স্কুটি বা মোবাইল!

সিদ্দিপেটের জেলা শাসক কৃষ্ণা ভাস্কর বলেন, ‘‘জেলার সিদ্দিপেট, গজবেল, দুব্বক এবং হাসনাবাদ—এই চারটি বিধানসভা এলাকার সমস্ত বুথে ভোটারদের উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৪
Share:

ভোট দিলেই মিলবে বাইক, স্কুটি বা মোবাইল, লাকি ড্রয়ের বন্দোবস্ত করল তেলঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলা প্রশাসন।

ভোট দিন, বাইক জিতুন! পেয়ে যেতে পারেন স্কুটি বা স্মার্ট ফোনও! না, নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দল নয়, যাঁকেই ভোট দিন, শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেই জিতে যেতে পারেন দুর্দান্ত এই সব উপহার।

Advertisement

১০০ শতাংশ ভোটারকে বুথে নিয়ে যেতে এমনই অভিনব উদ্যোগ তেলঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলা নির্বাচন কমিশন তথা জেলা প্রশাসনের। জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথের ভোটাররাই এই সুযোগ পাবেন। ভোটদাতাদের নিয়ে একটি লাক ড্র করে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন আধিকারিকরা।

কী ভাবে লাকি ড্র হবে? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি বুথের বাইরে কুপন রাখা থাকবে। ভোট দিয়ে বেরোলেই ভোটারদের হাতে একটি কুপন দেওয়া হবে। তার একটি অংশ কেটে জমা রাখা হবে। তার পর কুপন নিয়ে লাকি ড্র করা হবে। পুরুষ ও মহিলা ভোটারদের জন্য থাকবে আলাদা কুপন। পুরুষদের মধ্যে লাকি ড্রয়ে জয়ী পাবেন একটি বাইক। মহিলা বিভাগে বিজয়ীকে দেওয়া হবে একটি স্কুটি। এ ছাড়াও দুই গ্রুপেই আরও পাঁচ জন করে জয়ী ভোটারকে দেওয়া হবে একটি করে স্মার্ট ফোন।

Advertisement

আরও পডু়ন: কেউ জানে না, মোদীর বাবার নাম কী! বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

সিদ্দিপেটের জেলা শাসক কৃষ্ণা ভাস্কর বলেন, ‘‘জেলার সিদ্দিপেট, গজবেল, দুব্বক এবং হাসনাবাদ—এই চারটি বিধানসভা এলাকার সমস্ত বুথে ভোটারদের উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ।’’ ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মেডকের জেলা শাসক একই রকম লাকি ড্র-য়ের ঘোষণা করেছিলেন। তাতে ভোটের হার অনেকটাই বেড়েছিল বলে জেলা প্রশাসনের দাবি।

এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যেগুলি ভোটদানে উৎসাহ বাড়াবে, ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে বলে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া কোনও ব্যক্তি একই কাজ করলে তাঁকেও পুরস্কৃত করবে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: ‘ভোটের আগে রামরাম, ভোটের পর আরাম’, অযোধ্যায় বিজেপিকে তোপ শিবসেনার

১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভার ভোটগ্রহণ আগামী ৭ ডিসেম্বর। গণনা ১১ ডিসেম্বর। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রজত কুমার জানিয়েছে, প্রায় দু’কোটি ৮০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত লাখ নতুন ভোটার। অন্য দিকে সিদ্দিপেট জেলা অন্তর্বর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভাগনে কে হরিশ রাওয়ের খাস তালুক। জেলার গজবেল কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়বেন কেসিআর। তাঁর ভাগনেও এই জেলাতেই প্রার্থী হয়েছেন।

ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন