তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন কেসিআর।
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক একটা পঁচিশ মিনিট। দ্বিতীয়বারের জন্য তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন কল্ভকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-র সুপ্রিমোর জন্য এটাই নাকি ছিল সেরা ‘মহূর্তম’ বা রাজযোগ।বাতলে দিয়েছিলেন ইয়াদারি মন্দিরের পুরোহিত লক্ষ্মী নরসিংহাচার্য। তাঁর নিদান কাঁটায় মিলিয়ে শপথ নিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গেই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আগেরবার উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো মহম্মদ মেহমুদ আলি। হায়দরবাদে তেলঙ্গানা রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল ই এস এল নরসিংহ।
হিন্দু ধর্মাচরণ, রীতিনীতি, পুজো-পাঠ নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলেন কেসিআর। ১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসর পরই ‘মুহূর্তম’ নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তেলঙ্গানার ভোঙ্গির জেলায় ইয়াদাগিরি মন্দির তেলুগুদের জন্য পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। সেই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত নরসিংহাচার্যই ঠিক করে দেন, ১টা বেজে ২৪ মিনিটের পর থেকে শুরু হবে ‘মার্গশিরা ষষ্ঠী’। চলবে আরও প্রায় দেড় ঘণ্টা।
ব্যাখ্যা করে পুরোহিত বলে দেন, ‘‘এটাই হবে কেসিআর-এর জন্য রাজযোগ। এই সময়ের মধ্যে শপথ নিলে কোনও প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই তেলঙ্গানায় বিরাট শক্তিধর হয়ে উঠবেন। এই সময়ের মধ্যে সব গ্রহ উত্যুঙ্গ স্তরে থাকবে। ফলে কেসিআর যা করবেন, তাতেই সৌভাগ্য ও সাফল্য নিয়ে আসবে।’’পুরোহিতের এই ব্যাখ্যা মেনেই রাজ্যপাল ই এস এল নরসিংহের-এর কাছে সময় চাওয়া হয়। রাজ্যপালও সেই মতোই সময় দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই ১টা ২৫ মিনিটে শপথগ্রহণ করলেন কেসিআর।
আরও পড়ুন: তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে? সোনিয়ার উত্তর, ‘রাহুলকে জিজ্ঞাসা করুন’
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ, রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত, বড় দায়িত্বে সিন্ধিয়া-পাইলট?
২০১৪-র নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হন কে চন্দ্রশেখর রাও। কিন্তু মেয়াদ ফুরনোর প্রায় আট মাস আগে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোটে গিয়েছিলেন কেসিআর। সেই অর্থে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা হওয়ার পর এটাই রাজ্যের প্রথম ভোট। আর ভোটের পর ৮৮টি আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে টিআরএস। ১৯টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস-টিডিপি জোট। বিজেপির ঝুলিতে মাত্র একটি আসন। গজওয়েল কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন কেসিআর। শুধু তাই নয়, ১৯৮৫ সালের পর থেকে কোনও ভোটে দাঁড়িয়ে হারেননি তিনি।