শশাঙ্ককে সরিয়ে নতুন সিইও মিজোরামে

মিজোরাম সরকার ও রাজ্যের সব সংগঠনের যৌথ মঞ্চের দাবি মেনে মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) পদ থেকে এস বি শশাঙ্ককে সরিয়ে গুজরাত ক্যাডারের অফিসার আশিস কুন্দ্রাকে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

মিজোরাম সরকার ও রাজ্যের সব সংগঠনের যৌথ মঞ্চের দাবি মেনে মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) পদ থেকে এস বি শশাঙ্ককে সরিয়ে গুজরাত ক্যাডারের অফিসার আশিস কুন্দ্রাকে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে থাকা ১১,২৩২ জন রিয়াং শরণার্থীর ভোট দেওয়া নিয়ে জটিলতার শুরু। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উপস্থিতিতে শরণার্থী সংগঠনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে যাঁরা ত্রিপুরার শরণার্থী শিবির থেকে মিজোরামে ফিরবেন না, তাঁদের ভোটাধিকার থাকবে না। ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বাধীন যৌথ মঞ্চের দাবি, তার পরেও শশাঙ্ক ত্রিপুরায় থাকা রিয়াংদের ভোট দেওয়ানোর ব্যবস্থা করা ও রাজ্যে প্রথমবার আধা সেনা এনে ভোট করানোর চেষ্টা করছিলেন। তাতে বাধা দেওয়ায় স্বরাষ্ট্রসচিব লালনুনমাওইয়া চাউনগোকে সরানো হয়। এরপরেই শশাঙ্কের অপসারণের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন, বন্‌ধ। শশাঙ্ককে সরাতে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠান। রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতির কথা ভেবে শশাঙ্ককে দিল্লি ফেরানো হয়। নির্বাচন কমিশনের দল যৌথ মঞ্চ, গির্জা ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দেয়। তার ভিত্তিতেই শশাঙ্ককে সরিয়ে ভোটের দায়িত্ব আশিস কুন্দ্রাকে তুলে দেওয়া হল। কুন্দ্রা বর্তমানে মিজোরামের উচ্চশিক্ষা কমিশনার।

বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩টি মনোনয়নপত্র জমা পড়লেও যাচাইয়ে ১৪টি নাম বাদ পড়েছে। ৪০টি আসনে লড়ছেন ১৯৯ জন প্রার্থী। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস ও এমএনএফ ৪০টি আসনেই লড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা দু’টি কেন্দ্রে মনোনয়ন দিয়েছেন। ছোট আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট লড়ছে ৩৮ আসনে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন