Assembly Elections 2018

‘পাবলিক সব জানতি হ্যায়...’, বিজেপিকে খোঁচা সিধুর

২০০৪ সালে বিজেপির হয়ে পথম রাজনীতির ময়দানে আবির্ভাব সিধুর। তবে মতভেদের জেরে ২০১৬ সালে দল ছাড়েন। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১:০৫
Share:

নবজ্যোত সিংহ সিধু।—ফাইল চিত্র।

১৯৭৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল রাজেশ খন্না অভিনীত ‘রোটি’। সোমবার কংগ্রেস নেতা ও পঞ্জাবের মন্ত্রী নবজ্যোত সিংহ সিধুর গলায় সেই ছবির বিখ্যাত গান ‘ইয়ে পাবলিক হ্যায়, সব জানতি হ্যায়...’ শোনা গেল। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বর্ণনা করতে গিয়ে জনপ্রিয় ওই গানটি ব্যবহার করেন তিনি।

Advertisement

২০০৪ সালে বিজেপির হয়ে পথম রাজনীতির ময়দানে আবির্ভাব সিধুর। তবে মতভেদের জেরে ২০১৬ সালে দল ছাড়েন। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। এই মুহূর্তে পঞ্জাবের পর্যটন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রী তিনি। এ দিন বিধানসভা নির্বাচনের ফলে কংগ্রেসের জয় যখন ক্রমশ নিশ্চিত হচ্ছিল, তখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেয় একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সেখানে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ‘অচ্ছে দিন’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদী। সেই প্রসঙ্গ টেনে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সিধু বলেন, ‘‘বুরে দিন জানে ওয়ালে হ্যায় অউর রাহুল গাঁধী আনে ওয়ালে হ্যায়, কুছ হি সময় বাদ লাল কিলে পে ঝান্ডা ফেহরানে ওয়ালে হ্যায়।’’

গতকালই নয়াদিল্লিতে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করে কংগ্রেস। আসন্ন লোকসভা ভোটে মোদীকে পরাস্ত করতে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাহুল গাঁধীকে সম্মুখ সমরে নামতে দেখা যেতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়। তাতে আরও ইন্ধন জোগান সিধু। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস সভাপতি মোদীর বিরুদ্ধে নামতে পারবেন নাই বা কেন? ওঁর গ্রহণযোগ্যতা তো ক্রমশ বাড়ছে। তুলনায় জনপ্রিয়তা কমছে নরেন্দ্র মোদীর। পাবলিক সব জানতি হ্যায়। আজকের ফলাফলে আমরা আরও আশাবাদী। মানুষই রাস্তা করে দিয়েছেন। লালকেল্লায় গিয়েই যাত্রা শেষ হবে। রাহুল গাঁধী-ই নতুন উদীয়মান সূর্য। মানুষের সমর্থন পেলে খারাপ সময় কেটে যাবে শীঘ্রই। ক্ষমতায় বসতে অসুবিধা হবে না রাহুল গাঁধীর।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বিজেপির বড় ধাক্কা, রাহুলের হাসি চওড়া করল গোবলয়ের তিন রাজ্য​

আরও পড়ুন: টিআরএস ঝড়ে উড়ে গেল কংগ্রেস-টিডিপি জোট, দাগই কাটল না বিজেপি​

২০১৪-র নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর এই জয় মানুষের পক্ষে বিষাক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত সিধুর। তাঁর কথায়, ‘‘পুঁজিপতিদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন মোদী।কৃষক ঋণের ১ লক্ষ টাকা ফেরাতে না পারলে তা নিয়ে বড়াই করে বেড়ায় সরকার। কিন্তু আদানি-অম্বানীরা দেড় লক্ষ কোটি টাকা না ফেরালেও টুঁ শব্দ করে না। বরং খাতির করতেই ব্যস্ত থাকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন