মধ্যপ্রদেশে গণনায় বাড়তি সতর্কতাতেই দেরি, যুক্তি নির্বাচন কমিশনের

মধ্যপ্রদেশে ভোটের দিন থেকেই যে ভাবে রাস্তা-ঘাটে, হোটেলে ইভিএম পাওয়া যাচ্ছিল, তাতে বিজেপি শেষ মুহূর্তে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে রাজনৈতিক ভাবে সরব ছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৪০
Share:

গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশের পর থেকেই বিধানসভা ভোটে ইভিএমের পাশাপাশি ভিভিপ্যাট যন্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ছবি: সংগৃহীত।

কার্যত রাত কাবার হয়ে গেল মধ্যপ্রদেশের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে। নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, কারচুপির কোনও অভিযোগ যাতে না ওঠে, সে জন্যই বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তাতেই সময় বেশি লেগেছে। তবে ভোটের ফল নিয়ে কোনও দলই সে ভাবে কারচুপির অভিযোগ তোলেনি।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশে ভোটের দিন থেকেই যে ভাবে রাস্তা-ঘাটে, হোটেলে ইভিএম পাওয়া যাচ্ছিল, তাতে বিজেপি শেষ মুহূর্তে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে রাজনৈতিক ভাবে সরব ছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দিল্লি থেকে কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন রাহুল গাঁধীও। ফলে গোড়া থেকেই কমিশনের গলার কাঁটা ছিল মধ্যপ্রদেশ। গত কাল ৫ রাজ্যে একই নিয়ম মেনে ভোট গণনা করা হলেও, শুরুর প্রবণতায় বোঝা যাচ্ছিল রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস-বিজেপির লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে। মধ্যপ্রদেশের তুলনায় রাজস্থানের মোট আসন বেশ কিছুটা কম হওয়ায় সন্ধ্যার মধ্যেই ওই রাজ্যের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ও কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির পার্থক্য ০.১ শতাংশ হওয়ায় কোনও ঝুঁকি নেয়নি কমিশন। কোনও কেন্দ্রে ফলাফল নিয়ে সামান্য সন্দেহের অবকাশ হলেই পুনর্গণনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত কাল মধ্যপ্রদেশের আতেরে জয়ী ও বিজয়ীর ব্যবধান ছিল ২৮, বিনায় ৬৩২। ওই কেন্দ্রগুলিতে একাধিক রাউন্ডে পুনর্গণনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তাতেই ফলাফল দেরিতে এসেছে।

গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশের পর থেকেই বিধানসভা ভোটে ইভিএমের পাশাপাশি ভিভিপ্যাট যন্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ইভিএম ঘিরে বিরোধীদের তোলা কারচুপির অভিযোগ রুখতেই ওই বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যে কেন্দ্রগুলির ফল নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সেখানে ইভিএমে পড়া ভোট ও ভিভিপ্যাটের স্লিপের মধ্যে কোনও পার্থক্য রয়েছে কি না মিলিয়ে দেখা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রত্যেকটি রাউন্ডের শেষে সব প্রার্থীর নামে ভোট প্রাপ্তির শংসাপত্র জারি করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল কমিশন। তার পরেই পরবর্তী রাউন্ডের গণনা শুরু করা হয়। এর ফলেও অনেকটা বাড়তি সময় নষ্ট হয়।

Advertisement

কমিশন জানিয়েছে, নাগাল্যান্ডের ভোটে সঠিক ভাবে গণনা না করেই টেনিং বিধানসভা কেন্দ্রের এক প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করেছিলেন এক রিটার্নিং অফিসার। এক দিন পরে দেখা যায় ভোট গুনতে ভুল করেছেন তিনি। ফলে নতুন করে গণনা শেষে পরাজিত প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করে কমিশন। সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি রুখতে গণনার দিন কয়েক আগে পাঁচ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে বাড়তি সতর্কতা ও প্রতি রাউন্ড শেষে সব দিক খতিয়ে প্রার্থীদের নামে শংসাপত্র জারির নির্দেশ দেয় কমিশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন