বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া
ভোটারদের কাছে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। এ বারের ভোটে সে রাজ্যে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সে জন্যই নির্বাচনী ইস্তাহারে দরাজহস্ত বিজেপি আজ জানিয়েছে, রাজ্যে ফের সরকার গড়তে পারলে, পাঁচ বছরে বেসরকারি ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ এবং সরকারি ক্ষেত্রে বছরে ৩০ হাজার চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি অবশ্য বেকার ভাতা চালু করার কথাও রয়েছে ইস্তাহারে। রয়েছে অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের কন্যাশ্রীর অনুকরণে স্কুলশেষে ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। ছাত্রীদের জন্য ল্যাপটপ, খাবারের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।
জয়পুরে ইস্তাহার প্রকাশের সময়ে বসুন্ধরার পাশেই ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সে রাজ্যে ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল গাঁধী যখন বেকারি, চাষির সঙ্কটের কথা তুলে ধরছেন, তখন বিজেপির ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ২১ বছর বয়সের পরেই শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের শর্ত সাপেক্ষে মাসে ৫ হাজার টাকা করে বেকার ভাতা দেওয়া হবে। রাহুল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে দশ দিনে চাষিদের ঋণ মকুব করবে কংগ্রেস। জেটলি আজ এ নিয়ে কংগ্রেস সভাপতিকে কটাক্ষ করেন। তবে বসুন্ধরা জানান, ঋণ মকুব নিয়ে পদক্ষেপ করতে তাঁরা একটি কমিশন গড়তে চাইছেন। এ জন্য শুরুতেই সরকার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে। চাষিদের জীবনবীমা করানোর প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ইস্তাহারে।
ভোটের সময়ের হাজারো প্রতিশ্রুতি কোন দলই বা পালন করে— এই চালু কথা অবশ্য মানতে রাজি হন না শাসকেরা। আজ বসুন্ধরার দাবি, আগের ইস্তাহারের ৯৫ শতাংশই কার্যকর করেছেন তিনি।