এক রাতেই বদলে গেল গল্প, খুনি খোদ অভিযোগকারী স্বামীই

তখনই প্রশ্ন ওঠে, শুধু প্রিয়াকেই কেন মারল আততায়ীরা? পঙ্কজ কাল পুলিশের কাছে দাবি করে, সে আটকাতে গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু গুলি চালাতে শুরু করে তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল সে, তাকেই খুন করতে চেয়েছিল আততায়ীরা। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলি লাগে স্ত্রীর গায়ে। যদিও এক রাতেই বদলে গেল বয়ান। পুলিশের জেরার মুখে পঙ্কজ মেহরা স্বীকার করেছে, সে-ই খুন করিয়েছে স্ত্রীকে।

Advertisement

বুধবার ভোরে স্বামী ও দু’বছরের ছেলের সামনেই গুলি করে খুন করা হয় প্রিয়া মেহরা নামে এক মহিলাকে। গাড়িতে ফেরার সময় বাড়ির কাছে অন্য একটি গাড়ি পথ আটকায় ও চার আততায়ী গুলি চালায়। প্রিয়ার ঘাড়ে-মুখে গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু অক্ষত ছিল তাঁর স্বামী ও সন্তান।

তখনই প্রশ্ন ওঠে, শুধু প্রিয়াকেই কেন মারল আততায়ীরা? পঙ্কজ কাল পুলিশের কাছে দাবি করে, সে আটকাতে গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পঙ্কজকে লক্ষ করেই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তার গায়ে না লেগে দু’টো গুলি লাগে প্রিয়ার ঘাড়ে-মুখে। পঙ্কজের এক আত্মীয় অঙ্কিত মেহরা একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘‘তার পরেই বন্দুকটা গোলমাল করে।’’ পঙ্কজ বলেছিল, আততায়ীরা যত ক্ষণে অন্য একটা বন্দুক বের করে, তার মধ্যে সে গাড়ি নিয়ে পালায়। তার পর রাস্তাতেই পুলিশকে ফোন করে গোটা ঘটনা জানিয়ে বলে, প্রিয়াকে নিয়ে তারা কাছের হাসপাতালে যাচ্ছে। পঙ্কজের বোন সাবিনা জানিয়েছিলেন, সেই সময়ে বেঁচেছিলেন প্রিয়া। গুলি লাগার আধ ঘণ্টা পরে মারা যান।

Advertisement

আরও পড়ুন: তাজ দেশের ঐতিহ্য! ক্ষতে মলম যোগীর

চাপের মুখে আজই বদলে গেল কাহিনি। পঙ্কজ জানায়, সে গোপনে আর এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল। তার সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিল। পঙ্কজ ও প্রিয়ার একটি ছেলেও রয়েছে।

গত বছর একটি রেস্তোরাঁ খুলেছিল পঙ্কজ। কিন্তু ক্ষতির মুখে পড়ে ব্যবসা। কয়েক মাসের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল রেস্তোরাঁ। পঙ্কজ কাল ঘটনার দায় চাপিয়েছিল মনু নামে এক জনের উপর। সে বলেছিল, ওই লোকটির কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল সে। তা শোধ করতেই চাপ দিচ্ছিল মনু। পঙ্কজ বলেছিল, খুনের পিছনে মনুই রয়েছে বলে তার সন্দেহ। মনুকে চিহ্নিতও করেছিল পুলিশ। পুলিশ এ-ও জানিয়েছিল, প্রাথমিক তদন্তে তাদেরও মনে হচ্ছে মনুই খুনি। কারণ, ক’দিন আগে তিনি পঙ্কজের বোনের বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য শাসিয়েছিলেন।

আজ পুলিশের এক কর্তা মিলিন্দ দামবেরে বলেন, ‘‘স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ফের বিয়ে করেছে পঙ্কজ। নতুন স্ত্রীকে পেতেই পুরনো জনকে শেষ করার কথা ভেবেছিল সে।’’ আর সেই সঙ্গেই সে হয়তো এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছিল। তাই মনুর নামটাও জড়িয়ে দিয়েছিল পঙ্কজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন