একের পর এক মোবাইল টাওয়ার ও সংস্থার অফিসে হামলা নেহাতই সাময়িক সমস্যা বলে মনে করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। আজ এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুফতি মহম্মদ সইদ। টেলিফোন সংস্থাগুলি কেন বারবার জঙ্গি আক্রমণের নিশানা হচ্ছে, সে বিযয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নেহাতই সাময়িক সমস্যা। দীর্ঘদিনের সমস্যা একে বলা যায় না।’’
গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় চার বার হামলার মুখে পড়েছে উপত্যকার বিভিন্ন টেলি যোগাযোগ সংস্থার অফিস। বিচ্ছিন্ন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। আহত হন আরও তিন জন। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর কাশ্মীরের। সেখানে ভেঙে পড়েছে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থাই। মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদকে এই কথা জানানো হলে তিনি দাবি করেন, রাজ্যের মানুষ আরও নানা গুরুতর সমস্যার মধ্যে ছিলেন। এখন তাঁরা শুধুই ভাল দিনের অপেক্ষায়। তবে যারা শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন বেছে বেছে মোবাইল টাওয়ার ও টেলিফোন সংস্থার অফিসে এখন জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে তা নিয়ে প্রশাসনিক কর্তারা প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ঠিকই। কিন্তু তাঁদের অনেকেই মনে করেন, ফোনের টাওয়ারের অবস্থান দেখে জঙ্গিদের গতিবিধি পুলিশকে জানিয়ে দেয় এই অফিসগুলি। আর এর জন্যই তাদের উপর রেগে রয়েছে জঙ্গিরা।
আজ পুলিশ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সোপোরে টেলিফোন সংস্থার অফিসে যে হামলা হয়েছিল, তা হিজবুল জঙ্গিদের কাজ। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে সাময়িক সমস্যা বললেও পুলিশ কিন্তু এ ধরনের চক্রান্তকে হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ডিজি কে রাজেন্দ্র কুমার জানান, কী ভাবে এদের মোকাবিলা করা হবে, তা-ও ভেবে রেখেছে পুলিশ।
তবে পুলিশের পরিকল্পনা যা-ই হোক না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ মাথাব্যাথা নেই এ নিয়ে। তিনি বরং বেশি চিন্তিত উপত্যকার মানুষের নানা স্থানীয় সমস্যা, বন্যার পর বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়েই।