দেশে বিমান পরিষেবা এখন প্রায় স্বাভাবিক, জানাল বিমান মন্ত্রক। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগ্নেয়গিরির বিষাক্ত ছাই ক্রমশ পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। ভারতের আকাশসীমা ছাড়িয়ে এখন তা চিনমুখী। তাই বিপদের আশঙ্কা কেটে যাওয়ায় দেশে বিমান পরিষেবা এখন প্রায় স্বাভাবিক। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে মোটের উপর দেশের সামগ্রিক বিমান পরিষেবা যে স্বাভাবিক, তা মন্ত্রকের তরফে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গোটা ভারতেই (বিমান) পরিষেবা এখন স্বাভাবিক। এই মুহূর্তে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিস্থিতির খবর দিয়ে যাব।”
১২ হাজার বছর ঘুমিয়ে থাকার পর রবিবার হঠাৎই জেগে ওঠে ইথিয়োপিয়ার হায়েলি গুব্বি আগ্নেয়গিরি। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে ছাইয়ের কুণ্ডলী মেঘের সঙ্গে মিশে লোহিত সাগর পেরিয়ে উড়ে আসছে এশিয়া মহাদেশে। সোমবার রাতে সালফার ডাইঅক্সাইডমিশ্রিত ঘন ছাইমেঘ (অ্যাশ ক্লাউড) পশ্চিম দিক থেকে প্রথমে ভেসে এসেছিল গুজরাতে। তার পর তা ধীরে ধীরে রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তর-পশ্চিম মহারাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। ছাইমেঘ ভূপৃষ্ঠের অন্তত ১৫০০০ থেকে ৪৫০০০ ফুট উঁচুতে থাকায় জনস্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব পড়েনি ঠিকই, তবে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়। একাধিক সংস্থার বেশ কয়েকটি বিমান বাতিল করে দিতে হয়।
আবহবিদেরা আগেই জানিয়েছিলেন, ছাইমেঘ ক্রমশ পূর্ব দিক দিয়ে চিন অভিমুখে যাবে। তাই বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছিল দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই বিমানবন্দরকে। তবে আপাতত দেশের কোনও বিমানবন্দরের ক্ষেত্রেই সেই ঝুঁকি নেই বলে জানানো হয়েছে।