ব্যস্ত বিমানবন্দর থেকে উড়ান চালানোর অনুমতি পাওয়ার জন্য ভুল তথ্য দিচ্ছে বিমান সংস্থাগুলি। বিমান মন্ত্রকের সচিব আর এন চৌবে মঙ্গলবার এই অভিযোগ করেছেন— যাত্রী নিরাপত্তার প্রশ্নটি যার সঙ্গে জড়িত।
এক বিমানবন্দর থেকে অন্য বিমানবন্দরে পৌঁছতে যে সময় লাগার কথা, এক একটি বিমানসংস্থা সে’টি এক এক রকম দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দিল্লি থেকে কলকাতায় আসার জন্য কেউ সময় দেখাচ্ছে ২ ঘণ্টা, কেউ দেখাচ্ছে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট, কেউ বা আবার ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। মন্ত্রকের প্রশ্ন— একই দূরত্ব যেতে একই ধরনের বিমানের আলাদা আলাদা সময় কেন লাগবে? অভিযোগ, বিমানবন্দরের ‘স্লট’ পাওয়ার জন্যই সময়ে এই কারচুপি করছে সংস্থাগুলি।
ব্যস্ত বিমানবন্দর থেকে উড়ান চালু করতে গেলে এই ‘স্লট’ নিতে হয়। চাইলেই পাওয়া যায় না। উদাহরণ স্বরূপ, কলকাতা থেকে কেউ যদি সকাল ১০টায় দিল্লির জন্য নতুন উড়ান চালাতে চায়, তা হলে সেই অনুমতি না-ও পেতে পারে। দেখা যাবে, ওই সময়ে কলকাতা থেকে বিভিন্ন শহরের পর পর উড়ান রয়েছে অন্য সংস্থার। তার মাঝে দিল্লির নতুন ওই উড়ানকে জায়গা করে দেওয়া সম্ভব নয়। আবার বিমান সংস্থার দাবি, ওই সময়ে কলকাতা থেকে না ছাড়লে ভালো যাত্রী পাওয়া যাবে না।
শুধু কলকাতা নয়, ওই নতুন উড়ান অবতরণের জন্য দিল্লিরও স্লট নিতে হবে। দেখা যাবে, দুপুর ১২টায় গিয়ে দিল্লিতে নামার স্লট হয়তো রয়েছে। অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে উড়ানের সময় ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেখিয়ে কলকাতা থেকে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের স্লট নিয়ে নিচ্ছে বিমান সংস্থাটি। কলকাতা থেকে পৌনে দশটায় ছেড়ে দুপুর বারোটায় যাতে দিল্লি নামতে পারে, সেই মতো নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বিমানের গতিও।
এতেই আপত্তি জানিয়েছে বিমান মন্ত্রক। চৌবে জানিয়েছেন, ব্যস্ত বিমানবন্দরে স্লট নিয়ে সমস্যা রয়েছে ঠিকই, তা বলে মিথ্যা তথ্য দেওয়াটা মেনে নেওয়া হবে না।
এতে ঠকানো হচ্ছে যাত্রীদের। ইতিমধ্যেই মেট্রো শহরের মধ্যের উড়ানগুলির এই উড়ান সময় (বিমান পরিবহণের ভাষায় ‘ব্লক টাইম’) খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে
মন্ত্রক। পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞদেরও। চৌবে বলেন, ‘‘এ বার থেকে স্লট দেওয়া বা উড়ানসূচি অনুমোদন করার সময়েই ব্লক টাইম খতিয়ে দেখা হবে।’’