জঙ্গি হানার আশঙ্কা, সতর্কতা অযোধ্যায়

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, অযোধ্যায় বেশ কয়েক দিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন সন্ত্রাস-দমন শাখা, এনআইএ ও স্থানীয় গোয়েন্দা শাখার অফিসারেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

রাম জন্মভূমি মামলার রায় প্রকাশের আগে অযোধ্যায় নিরাপত্তা বাড়াল উত্তরপ্রদেশ ও কেন্দ্রীয় সরকার। অযোধ্যায় হামলা চালানোর জন্য সাত পাকিস্তানি জঙ্গি ভারতে ঢুকেছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের একটি সূত্রে। তবে সে কথা স্বীকার করেননি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ। অন্য দিকে দলীয় মুখপাত্র ও কর্মীদের রাম মন্দির নিয়ে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, অযোধ্যায় বেশ কয়েক দিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন সন্ত্রাস-দমন শাখা, এনআইএ ও স্থানীয় গোয়েন্দা শাখার অফিসারেরা। ফৈজ়াবাদ পুলিশের কর্তা বিজয়পাল সিংহ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নজর রাখা হচ্ছে। সেখানে প্রচার চালিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হলে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করবে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নজর রাখতে ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে ফৈজ়াবাদ পুলিশ।

প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, অযোধ্যায় হামলা চালাতে সাত পাক জঙ্গি নেপাল হয়ে উত্তরপ্রদেশে ঢুকেছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন তাঁরা। তাদের নাম মহম্মদ ইয়াকুব, আবু হামজ়া, মহম্মদ শাহবাজ, নিসার আহমেদ ও মহম্মদ কৌমি চৌধুরি। তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহের দাবি, ‘‘কোনও নির্দিষ্ট তথ্য আমরা পাইনি। পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ইয়েড্ডির ‘স্বীকারোক্তি’, আদালতে সরব কংগ্রেস

অযোধ্যার পাশাপাশি মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমির নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন প্রশাসন। সেখানেও ভূমির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বুরোর প্রধান শম্ভুনাথ সিংহ ও এডিজি নিরাপত্তা দীপেশ জুনেজা। তার পরে ওই এলাকায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশের অন্য ধর্মীয় স্থানগুলির নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ দিন দিল্লিতে দলের মুখপাত্র, মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া শাখার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ। সেখানেই রাম মন্দির প্রসঙ্গে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য কী ভাবে রুখতে হবে তা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া শাখাকে নির্দেশ দেন ওই শাখার প্রধান অমিত মালবীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন