একই দিনে ঝাড়খণ্ডে পাঁচটি সভা বাবুলের

কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সভা করবেন তিন দিন পরে। সে জন্য শহর জুড়ে যে পোস্টার লাগিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব, তাতে অমিত শাহের সঙ্গে রাহুল সিংহের ছবি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুপ্রিয় বড়াল (বাবুল)-এর মুখ কার্যত অমিল। কিন্তু সেই বাবুলকেই কাল ঝাড়খণ্ডে প্রচারে পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ। জামশেদপুর, ঘাটশিলার মতো বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় কাল একই দিনে পাঁচটি জনসভা করার জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩৭
Share:

কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সভা করবেন তিন দিন পরে। সে জন্য শহর জুড়ে যে পোস্টার লাগিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব, তাতে অমিত শাহের সঙ্গে রাহুল সিংহের ছবি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুপ্রিয় বড়াল (বাবুল)-এর মুখ কার্যত অমিল। কিন্তু সেই বাবুলকেই কাল ঝাড়খণ্ডে প্রচারে পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ। জামশেদপুর, ঘাটশিলার মতো বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় কাল একই দিনে পাঁচটি জনসভা করার জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। বাবুল সুপ্রিয়কে যখন কেন্দ্রে মন্ত্রী করে রাজনৈতিক উচ্চতা দিয়েছেন মোদী-অমিত শাহ, তখন ভিন্ রাজ্যে ভোট প্রচারে তাঁকে ব্যবহার করাটা তো স্বাভাবিক। এতে নতুনত্ব কোথায়? বিজেপি সূত্র বলছে, নতুনত্ব রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ভোটে রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য মোদী-অমিত শাহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু সবাইকে প্রচারের দায়িত্ব দিচ্ছেন না! রাজনাথ-নিতিন গডকড়ীর মতো শীর্ষ নেতা ছাড়া পরের প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে বেছে বেছে তাঁদেরই পাঠানো হচ্ছে, যাঁদের ভাবমূর্তি ঝকঝকে এবং প্রচারের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা রয়েছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, “আসানসোলের মাঠে বাবুলের ঝোড়ো ইনিংসটা ইতিমধ্যেই বিজেপির ইতিহাস বইয়ে ঢুকে পড়েছে। একার দমে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথমবার লোকসভায় খাতা খুলেছে বিজেপি। বাবুলের সেই রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা দেখেই তাঁকে এ বার অন্য রাজ্যে প্রচারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” আসানসোল থেকে ঝাড়খণ্ডের দূরত্ব অল্প কয়েক ক্রোশ। লোকসভা ভোটের সময় ঝাড়খণ্ডের বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের নেতা-কর্মীরা বাবুলের জন্য কাজ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের মতে, আসানসোলের ভোট ফলাফলের প্রভাব লাগোয়া ঝাড়খণ্ডেও পড়েছে। তাঁর কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ডে অপশাসন চলছে। কোনও স্থির সরকার না থাকায় উন্নয়ন থমকে রয়েছে। অথচ এই রাজ্যে উন্নয়নের সম্ভাবনা বিপুল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঝাড়খণ্ডে গিয়ে সেই বার্তা দিয়েছেন। মানুষকে বলেছেন, পরিবারতন্ত্র থেকে ঝাড়খণ্ডকে মুক্তি দিন। আমিও সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করব।”

ঝাড়খণ্ডে প্রচারে যখন তাঁকে এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কলকাতার পোস্টারে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দেখা নেই কেন? বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্রদের বক্তব্য, রাজ্য নেতারাই এর জবাব দিতে পারবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন