দীর্ঘ গণ্ডগোলের রেশ কাটিয়ে এ বার ছন্দে ফিরতে চাইছে ভূস্বর্গ।
গত কাল, টানা ৫২ দিন পর কার্ফু উঠেছে কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। আজ সকাল থেকেই বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তায় বেড়েছে গাড়ি এবং অটোরিকশার যাতায়াত। খুলেছে কিছু দোকানপাটও। শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র লালচকও খানিকটা চেনা চেহারায় ফিরেছে এ দিন। তবে অবশ্য এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি কাশ্মীরের জনজীবন। পুলিশ জানিয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বন্ধের জেরে এ দিন গোটা কাশ্মীরেই বন্ধ ছিল পরিবহণ পরিষেবা। খোলেনি স্কুল-কলেজ এবং অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ ছিল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও।
কাল দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের দু’টি থানা এলাকা ছাড়া পুরো উপত্যকা থেকে কার্ফু উঠে যায়। এ দিন সকালে কার্ফুমুক্ত হয়েছে পুলওয়ামাও। পুলিশ জানায়, এখনও কার্ফু জারি শ্রীনগরের দু’টি স্পর্শকাতর থানা এলাকা এম আর গঞ্জ ও নওহট্টে। এরই মধ্যে বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষের খবরও মিলেছে। এক শীর্ষ পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় যথেষ্ট বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। আমরা সব রকম বিক্ষোভ সামাল দিতে প্রস্তুত।’’
এ দিনই রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব মেনে কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর দাবিতে এ দিন একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান হয়েছে সোপোরে। শোপিয়ানে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগে আটক করা হয়েছে কয়েক জন যুবককে। বান্দিপোরাতে সংঘর্ষে কয়েক জন বিক্ষোভকারীর সঙ্গে জখম হয়েছেন এক পুলিশকর্মীও। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আজ একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ৪ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরে যাবে সর্বদল প্রতিনিধিমণ্ডলী। ৩ সেপ্টেম্বর ওই প্রতিনিধিমণ্ডলীর সদস্যদের কাশ্মীর নিয়ে তথ্য দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।