Lok Sabha Election 2019

‘বিভাজনের রাজনীতিতে অতিষ্ঠ,’ বিজেপি ছাড়লেন উত্তরপ্রদেশের দলিত সাংসদ

শাসকদলের সঙ্গে তাঁর আদর্শগত সঙ্ঘাত অবশ্য নতুন নয়। বরং বেশ কিছুদিন ধরেই দলের নানা পদক্ষেপের বিরোধিতা করছিলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:০২
Share:

সাবিত্রীবাঈ ফুলে।—ফাইল চিত্র।

টানাপড়েন চলছিলই। শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে বৃহস্পতিবার দল ছাড়লেন উত্তরপ্রদেশের দলিত সাংসদ সাবিত্রীবাঈ ফুলে। তবে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। আগামী ২৩ জানুয়ারি লখনউয়ে সভা করবেন। সেখানেই জানাবেন পরের পদক্ষেপের কথা।
সাবিত্রীর অভিযোগ, বিজেপি সমাজে বিভাজনের সৃষ্টি করছে। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় উপেক্ষিত দলিতরা। গুজরাতে বল্লভভাই পটেল কিংবা অযোধ্যায় রামের মূর্তি বসানো নিয়ে যখন প্রচার চালাচ্ছেন মোদী-যোগী আদিত্যনাথেরা, তখন বাহরাইচ কেন্দ্রের সাংসদের মন্তব্য, ‘‘মন্দির আর মূর্তি গড়তেই খরচ হচ্ছে দেশের মানুষের টাকা।’’ মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘চৌকিদারের চোখের সামনেই দেশের সম্পদ লুট হচ্ছে।’’
সাবিত্রীর দাবি, বিজেপি হিন্দু-মুসলিম, ভারত-পাকিস্তানের কথা সামনে রেখে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, অথচ দেশের টাকা হাতিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি মোদী সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন: জেল থেকে গব্বরের ফোন প্রোমোটারকে, ‘৫ লাখ নেহি দিয়া তো, গোলি সে টপকা দেঙ্গে’

আরও পড়ুন: বিজেপির হয়ে এ বার ভোটে লড়ছেন মাধুরী দীক্ষিত?

Advertisement

বিজেপির এই সাংসদ অবশ্য শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে। এ বছরের শুরুতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে গেরুয়া শিবির যখন চরম আপত্তি তুলছে, তখন জিন্নাকে ‘মহাপুরুষ’ আখ্যা দিয়েছিলেন সাবিত্রী। দলের সঙ্গে মতভেদ প্রকাশ্যে এসেছিল কিছু দিন আগেও।
রামমন্দির নির্মাণের প্রয়োজনীতা কোথায়, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আবার রাজস্থানে ভোটপ্রচারে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ হনুমানকে
‘দলিত’ বলায় সাবিত্রী মন্তব্য করেন, ‘‘দলিত হনুমান ছিল মনুবাদীদের ক্রীতদাস। রামকে এত সহযোগিতা করার পরেও তাকে বাঁদর হয়ে থাকতে হয়েছে। হনুমানকে মানুষ হিসেবে দেখানোরই প্রয়োজন ছিল। দলিত বলেই এই হেনস্থা।’’ হনুমান মন্দিরে দলিত পুরোহিত নিয়োগের দাবি তোলেন তিনি।
সুর কাটছিলই। অনেকেই ভাবছিলেন, উনিশের লোকসভা ভোটে সাবিত্রীকে প্রার্থী না-ও করতে পারে বিজেপি। এই জল্পনার মধ্যেই ইস্তফা দিলেন দলিত নেত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন