রাখল না কর্নাটক, আপাতত ঠাঁই বঙ্গে

শনিবার বিকেলে সত্যসাঁই প্রশান্ত নিলয়ম এক্সপ্রেসে চাপিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া স্টেশনে নিয়ে হয় ২৫ জন মহিলা এবং ১০টি শিশু-সহ মোট ৫৯ জন বাংলাদেশিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৪
Share:

বেঙ্গালুরু থেকে ট্রেনে চাপিয়ে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের। ছবি-নিজস্ব চিত্র।

সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার জন্য ৫৯ জন বাংলাদেশিকে ট্রেনে চাপিয়ে এ রাজ্যে নিয়ে এসেছিল কর্নাটক পুলিশ। কিন্তু ‘পদ্ধতিগত জটিলতা’র কারণে সেই প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। ‘মানবিকতার’ খাতিরে আপাতত পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাই ওই বাংলাদেশিদের সাময়িক থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কর্নাটক পুলিশের হেফাজত থেকে তাঁরা এখন এই রাজ্যের পুলিশের আওতায়। প্রশাসনের খবর, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করার কথাও বলা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার বিকেলে সত্যসাঁই প্রশান্ত নিলয়ম এক্সপ্রেসে চাপিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া স্টেশনে নিয়ে হয় ২৫ জন মহিলা এবং ১০টি শিশু-সহ মোট ৫৯ জন বাংলাদেশিকে। সঙ্গে ছিল কর্নাটক পুলিশের ৪০ জনের একটি দল। সাধারণত, যে রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয় অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছনোর দায়িত্ব সেই রাজ্যের পুলিশের। তার পর সীমান্ত পারের দায়িত্ব নেয় বিএসএফ। কিন্তু এই গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয়ের খামতি থাকায় বিষয়টি থমকে যায়।

প্রশাসনের শীর্ষ স্তর জানিয়েছে, এ রাজ্যে এসে পড়া বাংলাদেশিদের রাস্তায় ফেলে রাখা সম্ভব নয়। তাই যত দিন না সমাধান হচ্ছে তত দিন তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Advertisement

সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ৫৯ জনকে হাওড়া স্টেশনের ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বসিয়ে রাখা হয়। তাঁদের চা-কফি, জলখাবারও দেওয়া হয়। বেঙ্গালুরুতে ওই দলের পুরুষেরা মূলত দিনমজুর এবং মহিলারা পরিচারিকার কাজ করতেন। দলের সদস্য কমল মিস্ত্রি বলেন, ‘‘গত ২৬ দিন ধরে আমাদের বেঙ্গালুরুর একটি হোমে রাখা হয়েছিল। ঠিক মতো খেতে দেয়নি। তাই বেঙ্গালুরু ফিরতে চাই না।’’ দলের আরেক মহম্মদ রবিউল বলেন, ‘‘আমি বাংলাদেশের বাগেরহাটের বাসিন্দা। খেতে পেতাম না বলে জমিজমা বিক্রি করে সপরিবারে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলাম। কিন্তু এই অভিজ্ঞতার পর দেশেই ফিরতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন