লামডিং-শিলচর রুটে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে বরাক উপত্যকা। গত কাল থেকে ব্রডগেজ প্রকল্পের কাজকর্ম দেখছেন রেলের সেফটি কমিশনার সুদর্শন নায়েক। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দুই ডেপুটি কমিশনার। তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার অজিত পণ্ডিত।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দফায় পরিদর্শন করবেন ওই উচ্চপদস্থ কর্তারা। প্রথম দফায় তিন দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গত কাল ট্রলিতে চেপে লামডিং (পাথরখলা) থেকে মাইবং পর্যন্ত কাজকর্ম দেখা হয়। একই ভাবে আজ তাঁরা ঘুরে দেখেন মাইবং থেকে হাফলঙ। আগামী কাল লামডিং-হাফলঙ ‘স্পিড ট্রায়াল’ করা হবে। পরের সপ্তাহে হাফলং থেকে শিলচর পর্যন্ত পরিদর্শন করা হবে। ২৯ মার্চ হাফলঙ থেকে ওই কাজ শুরু হতে পারে। সেখানে প্রথমে ট্রলিতে পর্যবেক্ষণ চলবে। পরে স্পিড ট্রায়াল। পুরো পরিদর্শনের পর ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ দেবেন সেফটি কমিশনার।
বরাক উপত্যকার মানুষ এখন তারই অপেক্ষায়। ওই নথি ছাড়া যাত্রীবাহী রেল চালানো যায় না। ১২ জানুয়ারি থেকে দফায় দফায় ট্র্যাক পরীক্ষা করা হয়েছে। ইঞ্জিন, ফাঁকা কামরা নিয়ে স্পেশাল ট্রেন, পাথরবোঝাই ওয়াগন চালানোর পর এখন যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরুর পরিকল্পনা করছেন রেলকর্তারা। জানা গিয়েছে, আপাতত শিলচর থেকে তিনটি ট্রেন চালানো হবে। শিলচর-ডেকারগাঁও (তেজপুর), শিলচর-মরিয়ানি ও শিলচর-তিনসুকিয়া। শিলচর-তেজপুর ট্রেনটি গুয়াহাটি হয়ে যাতায়াত করবে। শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পালের দাবি, ছ’টি ট্রেন চালানো হোক শিলচর থেকে। ভাষাশহিদ এবং কাঁচাকান্তি মায়ের নামে দু’টি ট্রেনের নামকরণ করা হোক। শতাব্দী এবং রাজধানী এক্সপ্রেসেরও দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। রেলকর্তারা অবশ্য রাজধানী এক্সপ্রেসের দাবি মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, এই ট্রেন শুধু প্রতিটি রাজ্যের রাজধানী থেকেই চলে। যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর আগেই মালগাড়ি পুরোদমে চালিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে গিয়েছেন রেলের নির্মাণ শাখার জেনারেল ম্যানেজার রাজেশকুমার সিংহ। অনুমান করা হচ্ছে, ২৩-২৪ মার্চ মালগাড়ি চালানো হবে।