সঙ্ঘের সঙ্গে বিতর্কে বসুন্ধরা

সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কটা বহু দিনই ভাল নয়। ললিত মোদী কাণ্ডে দূরত্বটা বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গদিটাও নড়বড়ে। তার মধ্যেই সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৫ ০৪:০৭
Share:

সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কটা বহু দিনই ভাল নয়। ললিত মোদী কাণ্ডে দূরত্বটা বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গদিটাও নড়বড়ে। তার মধ্যেই সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে।

Advertisement

মেট্রোর লাইন তৈরির জন্য জয়পুরে সম্প্রতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল ৭৩টি মন্দির। যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যস্ত সময়ে শহরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন আরএসএস-এর কর্মী, সমর্থকরা। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির কিছু বিধায়কও। মন্দিরগুলি পুনর্নির্মাণ অথবা অন্যত্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

সকাল ন’টা থেকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত আরএসএস-এর ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে কার্যত থমকে গিয়েছিল শহরের জনজীবন। পুলিশ যদিও জানিয়েছে, বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে আগেভাগেই প্রশাসনের তরফে মোতায়েন করা হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। যার জেরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণে। এগারোটার পর স্বাভাবিক হয়ে যায় যান চলাচলও।

Advertisement

বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল আরএসএস-এর শাখা সংগঠন ‘মন্দির বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি’। অবরোধ শেষে সংগঠনের আহ্বায়ক বদ্রী নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজধানীর বুকে সফল অবরোধ রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে। সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে। মন্দির ধ্বংসে যাঁদের হাত রয়েছে সেই আধিকারিকদের শাস্তিও দিতে হবে।’’ বদ্রী নারায়ণ আরও জানান, সাত দিন পর অবরোধকারীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন তাঁরা।

বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে অবরোধে যোগ দেন নরপত সিংহ রজভি, ঘনশ্যাম তিওয়াড়ি, ফুলচাঁদ ভিন্ডা, সুরেন্দ্র পারেখ প্রমুখরা। ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র কৈলাস নাথ ভট্টও। মন্দির ভাঙার প্রশ্নে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপি সরকার। বিধায়ক নরপত সিংহ রজভি বলেন, ‘‘মানুষ আমাদের পাশে। প্রাচীন মন্দিরগুলি ভেঙে ফেলায় সরকারের উপর ক্ষুব্ধ তাঁরাও।’’ ‘মন্দির বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি’ দাবি করেছে, ধর্ম নিয়ে কোনও রকম রাজনীতি করা হচ্ছে না। তবে একের পর এক মন্দির ভেঙে ফেলায় হিন্দুদের ধর্মীয় স্বার্থে আঘাত লেগেছে। উন্নয়নের নামে শহরের এতগুলো মন্দির ধ্বংস করে ফেলাটা কখনই কাম্য নয়।

সমস্যার সমাধানে কী রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা?

জবাবে বদ্রী নারায়ণ বলেছেন, ‘‘আমন্ত্রণ ছাড়া কোথাও যাই না আমরা। সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন