Shraddha Walker murder case

স্ত্রীর দেহ ৭০ টুকরো করে ছড়িয়েছিলেন স্বামী! শ্রদ্ধা-কাণ্ডের মতোই আরও এক নৃশংস এই খুন

কলকাতার এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্বামী। এ কথা জানতে পেরেছিলেন তাঁর স্ত্রী। এ নিয়ে অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন করেছিলেন তাঁর স্বামী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৫২
Share:

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের মতোই আরও এক নৃশংস খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল ১২ বছর আগে। ফাইল চিত্র।

লিভ ইন সঙ্গীকে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছেন প্রেমিক। দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। তবে ভালবাসার মানুষের সঙ্গে এমন নৃশংসতার নজির আগেও দেখেছেন দেশবাসী। ১২ বছর আগে স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ ৭০ টুকরো করেছিলেন এক জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাটি দেহরাদূনের।

Advertisement

স্ত্রী অনুপমাকে হত্যার পর তাঁর দেহ ৭০ টুকরো করার অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে রাজেশ গুলাতি নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। বর্তমানে দেহরাদূনের জেলে বন্দি রয়েছেন রাজেশ। যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৯৯৯ সালে ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর তাঁরা আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালে আবার দেহরাদূনে ফেরেন ওই দম্পতি। এর পর থেকে প্রায়শই তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। কলকাতার এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজেশ। এ কথা জেনে গিয়েছিলেন অনুপমা। আর এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত।

Advertisement

২০১০ সালের ১৭ অক্টোবর রাতে ঝগড়া হয়েছিল ওই দম্পতির। সেই রাতেই ৩৭ বছর বয়সি অনুপমাকে খুন করেছিলেন রাজেশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছিল যে, ঝগড়ার সময় অনুপমার গালে চড় মেরেছিলেন রাজেশ। পাশাপাশি স্ত্রীর মাথা দেওয়ালে ঠুকে দিয়েছিলেন। এর জেরে জ্ঞান হারিয়েছিলেন অনুপমা। জ্ঞান ফিরলে পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারেন অনুপমা, এই আশঙ্কায় তাঁর মুখে বালিশ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন রাজেশ। তার পর স্ত্রীর দেহ ৭০ টুকরো করে কেটে পলিথিনের ব্যাগে ধরে ডিপ ফ্রিজারে রেখেছিলেন। তার পর শহরের বিভিন্ন জায়গায় সেই টুকরো দেহাংশ ফেলে দিয়েছিলেন। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের ধরনের ক্ষেত্রে যার মিল পাওয়া গিয়েছে। আর সে কারণেই ১০ বছর বাদে আবার চর্চায় এসেছে ওই নৃশংস খুনের ঘটনা।

রাজেশ ও অনুপমার যমজ সন্তান রয়েছে। খুনের পর দু’মাস স্বাভাবিক জীবনযাপনই করতেন রাজেশ। সন্তানদের বলেছিলেন, তাঁদের মা দিল্লিতে গিয়েছেন। এক দিন তাঁদের বাড়িতে অনুপমার ভাই যান। সেই সময় অনুপমার ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি রাজেশ। এর পরই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেছিলেন অনুপমার ভাই। তদন্তে নেমে রাজেশের বাড়িতে ডিপ ফ্রিজারে অনুপমার মুণ্ড দেখতে পায় পুলিশ। এর পরই এই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে।

শ্রদ্ধাকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সোমবার এক ইংরাজি দৈনিককে অনুপমার পরিবারের আইনজীবী এস কে মোহান্তি বলেছেন, ‘‘রাজেশ জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ওঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। হাই কোর্ট ওঁকে ২১ দিনের জন্য সেপ্টেম্বর মাসে জামিন দিয়েছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন