বেঙ্গালুরুতে গাড়ি দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়েছে আইনজীবীর দেহ। ছবি: এক্স।
জেলে মক্কেলের সঙ্গে দেখা করে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ৪৬ বছরের আইনজীবী এইচ জগদীশ। গাড়ি থেকে কয়েক হাত দূরে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল দুর্ঘটনার ফলেই এই মৃত্যু। কিন্তু আইনজীবীর দেহের আঘাতের বর্ণনা অন্য ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, গাড়ি দুর্ঘটনার পরে আইনজীবীকে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর কেনগেরির নাইস রোডের। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে আইনজীবীর দেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেখা যায়, গাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে তাঁর দেহ পড়ে আছে। ওই গাড়ির ইঞ্জিন চালু অবস্থায় ছিল। দরজাগুলি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। এমনকি, গাড়ির ‘পার্কিং লাইট’ও জ্বলছিল। গাড়িটির দু’দিকে ঘষা লাগার দাগ ছিল। দুর্ঘটনার ফলেই ওই দাগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, দুর্ঘটনার পর আইনজীবীকে গাড়ি থেকে বার করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
আইনজীবীর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের সদস্য অভিযোগে লিখেছেন, ‘‘ওঁর বাঁ পা এবং পেটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথার পিছন দিক কেটে ফেলা হয়েছিল। সেখান থেকে বার করে নেওয়া হয়েছিল ঘিলু। আমার মনে হয়, ওঁকে গাড়ি থেকে বার করে খুন করা হয়েছে। ওঁর মোবাইলটিও পাওয়া যাচ্ছে না।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল জেলে এক মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জগদীশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, তার প্রমাণ মিলেছে। তবে মৃত্যুর কারণ কী, দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। এসিপি বিকাশ কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তের জন্য তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।