বিজেপির আসন বণ্টন প্রস্তাবে অখুশি শরিকরা

অবশেষে বিহারের আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করল বিজেপি। আজ পটনায় দলের সভাপতি অমিত শাহ এনডিএ-র শরিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৫ ০২:৪৮
Share:

অবশেষে বিহারের আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করল বিজেপি। আজ পটনায় দলের সভাপতি অমিত শাহ এনডিএ-র শরিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেন।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্য বিধানসভার মোট ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১৮৫টি আসন নিজেদের জন্য রাখতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বাকি ৫৮টি আসন শরিকদের মধ্যে ভাগ করে দিতে চাইছেন তাঁরা। শরিক দলের নেতাদের কাছে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রস্তাবে একেবারেই খুশি নয় শরিক দলগুলি।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, উপেন্দ্র কুশহওয়ার দল রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টিকে ১৫ থেকে ১৮টি আসন, জিতনরাম মাঁঝির দল হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চাকে ১২ থেকে ১৫টি আসন এবং রামবিলাস পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টিকে ২৫ থেকে ৩১টি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে অবশ্য শরিকরা এখনই মুখ খুলতে চাননি। প্রকাশ্যে কিছু বলেননি বিজেপি নেতারাও। তবে আরও আসনের জন্য শরিকদের চাপ রয়েছে। রামবিলাসের দলের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি-ও জানে এই সূত্রে আসন রফা হবে না। শরিকরা চাপ বাড়াবেই। সেই কারণে একদম নীচ থেকেই দর কষাকষি শুরু করা হয়েছে।

Advertisement

আজ রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনার পর অমিত শাহ শরিকদের কাছে আসন বণ্টনের এই সূত্রটি রাখেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আসন বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি।’’

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট করে রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টি তিনটি আসন এবং লোক জনশক্তি পার্টি ছ’টি আসন জিতেছে। নরেন্দ্র মোদী ঝড়ে বিজেপি জিতেছিল ২২টি আসন। সেই হিসেবকে সামনে রেখেই আসন বণ্টন করতে চাইছে বিজেপি। তা ছাড়া লক্ষ কোটির প্যাকেজ ঘোষণায় দলের কতটা রাজনৈতিক লাভ হবে তা নিয়েও রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন অমিত শাহ। এমনিতেই প্যাকেজ-রাজনীতি নিয়ে সরগরম বিহার, দিল্লিও। এ দিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘উন্নয়নকে সামনে রেখেই নির্বাচনের সময়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। তবে বর্তমান বিহার সরকার যে ভাবে দুর্নীতি করছে তাতে এক লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকাও বিহারের উন্নয়নের জন্য কম হবে।’’ নীতীশকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, ‘‘এখন প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। এর পরে নীতীশজি বলছেন বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়নি। আমাদের সরকার রাজ্যের ১০ শতাংশ অনুদান বাড়িয়েছে। চতুর্দশ অর্থ কমিশনে দু’লাখ ২০ হাজার টাকা বেশি দেওয়া হবে। আমরা যদি ভেদাভেদ করতাম তা হলে এত টাকা দিতাম না নীতীশজি।’’

দিল্লিতেও নীতীশের বিরুদ্ধে সার্বিক আক্রমণে নেমেছে মোদী সরকার। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘এত দিন নীতীশ কুমার বিহারের প্যাকেজ চেয়ে দরবার করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করার পরে একটি ধন্যবাদও নীতীশ কুমার তাঁকে জানাননি!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন