উদ্বোধনের আগের দিন বাঁধ ভাঙল ভাগলপুরে

গত কাল জলের চাপে ভেঙে পড়ে বাঁধের একটি অংশ। জলমগ্ন হয় কহলগাঁও এনটিপিসি শহর। সুযোগ পেয়ে আক্রমণে নেমেছে বিরোধী শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:১২
Share:

এ ভাবেই জল ঢুকে আসছে ভাগলপুরে।

উদ্বোধনের ২৪ ঘণ্টা আগে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিহারের বাঁধ। আজ ভাগলপুরের বটেশ্বর স্থানে গঙ্গা ক্যানেল প্রকল্পে ওই বাঁধ উদ্বোধনের কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। গত কাল জলের চাপে ভেঙে পড়ে বাঁধের একটি অংশ। জলমগ্ন হয় কহলগাঁও এনটিপিসি শহর। সুযোগ পেয়ে আক্রমণে নেমেছে বিরোধী শিবির।

Advertisement

পটনায় আরজেডি শীর্ষনেতা লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, ‘‘বন্যার সময় ইঁদুর নাকি বাঁধ ভেঙে দিত। এখন ভাঙছে ঘড়িয়াল।’’ টুইটারে লেখেন, ‘‘৮২৮ কোটি টাকায় বাঁধ গড়েছিল নীতীশ। জল পড়তেই তা গলে গেল।’’ বিরোধী দলনেতা তেজস্বীপ্রসাদ যাদব বলেন, ‘‘এর জন্য দায়ী দুর্নীতি। মুখ্যমন্ত্রী দায় এড়াতে পারেন না।’’ কাটিহারের এনসিপি সাংসদ তারিক আনোয়ার ইস্তফা চেয়েছেন সেচমন্ত্রী ললন সিংহের।

১৯৭৭ সালে ১৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার ওই প্রকল্পের অনুমোদন করেছিল রাজ্য সরকার। তার পর দীর্ঘদিন কাজ থমকে ছিল। সরকার বার বার প্রকল্পের খরচের পুনর্মূল্যায়ন করে। ওই বাঁধে ১২টি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানো হয়। সব পাম্প একসঙ্গে চালানো হলে প্রতি সেকেন্ডে ২৬০ কিউসেক জল বাঁধ সংলগ্ন খালে ঢুকত। প্রকল্পটি চালু হলে ভাগলপুরের ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর এবং ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার চার হাজার হেক্টর জমি সেচযোগ্য হতো। প্রকল্পের বর্তমান বরাদ্দ পৌঁছেছিল ৮২৮ কোটি টাকায়।

Advertisement

তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘উদ্বোধনের আগে গত কাল পাঁচটি পাম্প চালিয়ে খালে জল ঢোকানো হচ্ছিল। বাঁধের একটি অংশ জলের চাপ নিতে পারেনি।’’ এর দায় পুরোপুরি কাঁধে নিতে রাজি নয় জলসম্পদ দফতর। দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, তদন্ত শেষ না হলে কিছু বলা যাবে না। সূত্রের খবর, সোমবারও জলের তোড়ে বাঁধের কয়েক জায়গায় ফাটল ধরা পড়েছিল। কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন