অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। সমাজ বিজ্ঞানের প্রশ্ন ছিল ‘দেওয়ানি মামলে কেয়া হোতে হ্যায় (দেওয়ানি মামলা বলতে কী বোঝায়)? পরীক্ষার্থী লিখেছে, ‘‘কোনও মেয়ের সঙ্গে প্রেমে পড়ার পরে একটি ছেলের মনের অবস্থাকেই দেওয়ানি বলে।’’ প্রশ্নের উত্তর দেখে চোখ কপালে উঠেছে পরীক্ষকদের। বিহারের ভোজপুর জেলার বিহিয়া ব্লকের সমস্ত স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছে মার্চ মাসের শেষ দিকে। সেখানেই এমন উত্তর মিলেছে। ওই প্রশ্নের উত্তরেই আর এক ছাত্রী লিখেছে, ‘‘প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে ছেলেরা যেমন হয়ে যায়, তাকেই দেওয়ানি মামলা বলে।’’ গোটা ব্লকে ৩০০৮ জন ওই পরীক্ষায় বসেছে। তাদের কেউই সঠিক উত্তরটি দিতে পারেনি।
এখানেই শেষ নয়, প্রশ্ন ছিল ‘মৃদা অপ্রদন’ (ভূমিক্ষয়) মানে কী? এক পরীক্ষার্থী লিখেছে, ‘‘স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রী তাঁর সঙ্গে সতী হলে তাকে মৃদা অপ্রদন বলে।’’ প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে এমন পরিস্থিতির কথা মেনে নিয়েছেন বিহিয়া ব্লক শিক্ষা আধিকারিক সত্যেন্দ্র কুমার। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ব্লকে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক এমনিতেই কম রয়েছে। যে কারণে ছাত্রছাত্রীরা এমন উত্তর দিয়েছে। আমরা গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’’ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী অশোক চৌধুরী বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। শিক্ষা অধিকর্তা এবং জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে খতিয়ে দেখব।’’ তবে তাঁর প্রশ্ন, এর দায় শিক্ষকরা এড়াবেন কী করে?