আদিত্য সচদেব খুনে দোষী সাব্যস্ত রকি যাদব। ছবি: পিটিআই।
বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আদিত্য সচদেব হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হল রকি যাদব। বৃহস্পতিবার গয়ার জেলা ও দায়রা আদালত এই রায় ঘোষণা করে। নাজারথ অ্যাকাডেমির ছাত্র আদিত্যকে রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে গুলি করে মারার অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন জেডিইউ বিধায়ক মনোরমা দেবীর ছেলে রকি যাদবের বিরুদ্ধে। গত বছর, ৭ মে-র সেই ঘটনায় পুলিশ রকি, তাঁর মা মনোরমাদেবী এবং বাবা বিন্দি যাদবকে গ্রেফতার করে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: সাত বছর ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ বাবার!
গত বছর মে মাসে বুদ্ধগয়ায় একটি পার্টি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন গয়া জেলার এক ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে আদিত্য। পথে জেডিইউ বিধায়ক মনোরমা দেবীর গাড়িকে ওভারটেক করে তাঁর গাড়ি। ওই গাড়িতে তখন ছিলেন মনোরমা দেবীর ছেলে রকি ও তাঁর কয়েক জন সঙ্গী। এই ওভারটেক করা নিয়ে উভয়পক্ষে বচসা বাধে। এতেই বিগড়ে যায় বিধায়ক-পুত্রের মেজাজ। এগিয়ে গিয়ে রাস্তা আটকে দাঁড়ান তিনি। সে সময়ে গাড়ি থেকে বিধায়কের দেহরক্ষী নামেন। গাড়ি চালককে টেনে নামানোর চেষ্টা করা হয়। গাড়ি থেকে না নেমে কোনও মতে গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আদিত্যের চালক। তখনই পিছন থেকে নিজের লাইসেন্স প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালায় রকি। গাড়ির পিছনের স্ক্রিন ফুঁড়ে মাথায় লাগে আদিত্যের। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এই ঘটনার পরেই রকিকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু হয়। রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে গোটা বিষয়টিকে রঙ দেওয়ার চেষ্টা করেন রকির বাবা, বিন্ধেশ্বরী যাদব এবং মা মনোরমা দেবী। বিন্ধেশ্বরী যাদবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বিজেপি-সহ বিরোধীদের প্রবল আক্রমণের মুখে পড়েছিল নীতীশ কুমার ও লালু প্রসাদের দল। মনোরমা দেবীকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেডিইউ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: লাইভ ভিডিও চ্যাটের মাঝে অপহরণ, বন্ধুর চেষ্টায় উদ্ধার তরুণ ব্যবসায়ী
আদিত্য হত্যার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে বিহার পুলিশ। ঘটনার পরেই রকি পলাতক ছিল। পরে বুদ্ধগয়ার এক ডেয়ারি ফার্ম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মনোরমাদেবীকেও বাড়ি থেকে মদের বোতল-সহ গ্রেফতার করা হয়।