সীমান্ত অস্থিরই, ফের সুর চড়ালেন বিলাবল

জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন চলছেই। আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ জম্মুর পারগওয়াল সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর গুলি চালানো শুরু করে পাক রেঞ্জার্স বাহিনী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিএসএফ জওয়ানরা তার জবাব দেয় বলে সূত্রের খবর। গত তিন দিনে মোট পাঁচ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। আর এরই মধ্যে ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গে মুখ খুলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন বিলাবল ভুট্টো জারদারি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ ও জম্মু শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:১৮
Share:

জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন চলছেই। আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ জম্মুর পারগওয়াল সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর গুলি চালানো শুরু করে পাক রেঞ্জার্স বাহিনী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিএসএফ জওয়ানরা তার জবাব দেয় বলে সূত্রের খবর। গত তিন দিনে মোট পাঁচ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। আর এরই মধ্যে ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গে মুখ খুলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন বিলাবল ভুট্টো জারদারি।

Advertisement

জম্মুর জেলাশাসক অজিত কুমার সাহুর বক্তব্য, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় কৃষকদের চাষবাস করতে না দেওয়াই এখন পাকিস্তানের মূল উদ্দেশ্য। আর সে জন্যই লাগাতার গত এক মাস ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা আর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে আসছে পাকিস্তান। এই অবস্থায় কাল আবার মুখ খুলেছেন বেনজির-পুত্র বিলাবল। তাঁর দল পিপিপি ক্ষমতায় এলে কাশ্মীরকে নিজেদের দখলে আনবেন বলে গত মাসেই হুমকি দিয়েছিলেন বিলাবল। কাল করাচিতে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতকে ফের একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “কাশ্মীর নিয়ে যখনই কথা বলি, গোটা হিন্দুস্থান চিৎকার করতে শুরু করে। ওরা জানে যখন কোনও ভুট্টো কথা বলে, ওদের (ভারতীয়দের) জবাব দেওয়ার থাকে না।” তার পরেই হাজার খানেক সমর্থকের সামনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হুমকির সুরেই বিলাবল বলেন, “ভারতের কাছ থেকে কাশ্মীর আমরা ফেরত নেব।” তবে এত সবের মধ্যেও ২৬ বছরের এই তরুণ রাজনীতিকের বক্তব্য, তিনিও চান কাশ্মীরে শান্তি ফিরুক। আর তাঁর বক্তব্যকে কেউ যেন ভুল না-বোঝে।

তবে সীমান্তে অশান্তির আবহেই কাশ্মীর প্রসঙ্গকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতি জারি রাখল পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ কাল রাতেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আজিজের বক্তব্য, “সীমান্তের অস্থিরতা প্রশ্নে রাষ্ট্রপুঞ্জের জড়িত থাকাটা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা আনবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন