Central Government

রেশনে বায়োমেট্রিক যাচাই হয়নি  বাংলায়

সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তার রিপোর্টে বলেছে, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ রেশন দোকানে ই-পস যন্ত্র বসে গিয়েছে।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২১ ০৫:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

খাদ্য সুরক্ষা আইনে পশ্চিমবঙ্গের কত জন রেশন পাবেন, তার সবাইকে চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। সব রেশন দোকানেই ডিজিটাল রেশন কার্ড যাচাইয়ের জন্য ই-পস যন্ত্রও বসে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পশ্চিমবঙ্গ বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের কাজ শুরু করেনি বলে আঙুল তুলল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। খাদ্য, গণবন্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের এই স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

কোভিড পর্বে রাজকোষের করুণ পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি ধার নেওয়ার অনুমতি দিতেও কেন্দ্র ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ চালু করার শর্ত রেখেছে। কেন্দ্রের দাবি, এটি চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকরা সব থেকে বেশি লাভবান হবেন। কেউ ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গেলেও সেখানেই তাঁর রেশন তুলতে পারবেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এখনও তাতে রাজি হয়নি।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তার রিপোর্টে বলেছে, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ রেশন দোকানে ই-পস যন্ত্র বসে গিয়েছে। শতকরা ৮০ ভাগ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ হয়েছে। কিন্তু এখনও বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের কাজ শুরু করেনি। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী, সচিব, যুগ্মসচিবেরা বারবার চিঠি দিয়েছেন, ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। অসম, দিল্লির মতো রাজ্যও এ কাজে পিছিয়ে রয়েছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, বায়োমেট্রিক বা চোখের মণি, আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের সুযোগ থাকলে শুধু যে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ চালু করতে সুবিধা হবে, তা-ই নয়, যাঁর রেশন পাওয়ার কথা, তিনিই যে রেশন পাচ্ছেন, তা-ও নিশ্চিত করা যাবে। ফলে খাদ্য সুরক্ষা আইনে ভর্তুকিতে যে রেশন দেওয়া হচ্ছে, তার অপব্যবহার কমবে। তৃণমূল সাংসদের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টে তৃণমূল সরকারের এ হেন সমালোচনা কেন? তৃণমূল সূত্রের ব্যাখ্যা, খাদ্য মন্ত্রক কমিটিকে যা জানিয়েছে, সেটাই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট গৃহীত হওয়ার সময় সুদীপবাবু দিল্লিতে ছিলেন না। বিজেপি সাংসদ অজয় মিশ্র (তেনি) সভাপতিত্ব করেন।

রেশন দোকানের ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু অবশ্য বায়োমেট্রিক যাচাইকে সর্বরোগহর বলে মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, যাঁরা খেটে খান, কোদাল চালান, তাঁদের আঙুলের ছাপ ই-পস যন্ত্রে ঠিকমতো ধরা পড়ে না। ফলে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে রেশন বিলি করতে বহু রাজ্যেই সমস্যা হয়।
খাদ্য সুরক্ষা আইনে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৬.০১ কোটি পরিবার ২ টাকা কেজি করে ৫ কেজি করে চাল-গম পান। রাজ্য সরকার এতে ভর্তুকি দেয় বলে পুরোটাই নিখরচায় মেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন